একটি বৃন্তহীন দিন, একটি আজানুলম্বিত রাত,
দেবতার মন্দিরের মতো অদ্ভুতুড়ে আলোতে
এখনো সুস্থির! চুপিচুপি কথা বলে বাজ্রিগারের খাঁচা!
ওখানে অনেকে ছিল; ওখানে পূর্ণতা ছিল;
এখন শূন্যতা আছে! অসীমের স্থান সংকুলান আছে,
আর ক্রমশ বিলীন বাষ্পকণার সাথে,
উদ্বায়ী ভংগীতে দ্বৈত বাঁচা আজো টিকে আছে!
এইতো বেশ আছি বলে দুমদাম লিখে দিলে
গেঞ্জিতে গ্রাফিতি, আসলে কি থাকা যায় ভালো?
উত্তরটা জানা আছে কি তোমার প্রিয় প্রতীতি?

একটা পাখির পাখা জোড়, দুইটি পাখিরো তাই,
জমা হয় তবু বেজোড় উল্লাস নাগরিক খপ্পরে,
মেঘের বারান্দায় ঝড়, খাটো করে রাখা কন্ঠনালীর স্বর,
সব সাথে নিয়ে অনিদ্রায় জ্যন্ত শতপদীর মতো ছটফট,
কতোকাল অন্তঃস্থিত কীট দেখতে পায়নি ভোর!
লৌকিক উৎকন্ঠায় কেটে যায় গায়ত্রী ছন্দের তাল,
তবু পিছু তো ছাড়েনা আধিভৌতিক প্রাতরাশ,
কিছুটা খাই; অথবা খাইনা,
মহাবিশ্বের তো তাতে কিছু যায় আসেনা!
প্রতিদিন রেলের কামরার মতো দল বেঁধে আসে,
মঞ্চের নট ও নটীরা!
ভাবি আমারো তো তাতে কিছু আসবে বা যাবেনা,
তবুও তো আসে যায়! আমার অনেক কিছুই আসে যায়
নড়বড়ে ভিতটা বেকয়াদা ধাক্কায় নড়ে যায়!