আজকে বাতাসে হিমবাহ উল্টায়নি; তুষারের ভিড়ে-
টলমলে নীল হ্রদ একটুও কাঁপেনি!
তবুও অপেক্ষায় ছিলো পাহাড়ি দেবদারূ ঘুম স্টেশনে,
নিরাসক্ত হতে গিয়ে শেষকালে মন্দাকিনীর মেয়ে,
গ্রহাণুর কক্ষচ্যূতির দিনে আমাতে আসক্ত হলে বুঝি!
কেউ না জানুক! আমি তো তা জানি!
অন্তরীক্ষে পংখীরাজ উঁকি দিলো সৌর মিলনায়তনে!
চুপি চুপি নেমে এলো হিরণ্ময় ঘাটে; তবুও তুমি-
অপেক্ষায় মশগুল; সরোবরে ছড়িয়েছ দুঃখের বীজ,
বাড়েনা আকারে তারা বরেণ্য বনসাই!
লুকিয়ে যত্নে রাখ; মাঝেমাঝে ডুবে গেলে রৌদ্রতাপ,
নিতে আসো খোঁজ, সাধের পত্রশাখায় যেন না ধরে-
পচন! এমন নির্মোহ দিনে আমি এখনো নিখোঁজ!

ঘাসভূমি ছেড়ে তুমি এগিয়ে গিয়েছ দূর; ওখানে-
কৃষ্ণসাগরে মেশে টিম্বাকুটুর রোদ!
নোনা ঢেউয়ে রাজহাঁস, চুনাপাথরের মতো স্তব্ধ দুপুর;
ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে জলজ নুপূর; তুমি এখনো-
অপেক্ষায়! বর্ষণের জন্য পুড়ায় বুক যেমন কদম্ব ফুল,
তার মতো অপেক্ষা বাড়ছে; দিকচক্রবাল ঢেকে দিয়ে,
ক্রমশ গিলে খাবে দিনরাত জেনেও মেয়ে রেখেছ-
পাহারায় পাতালের মতো বিষম গভীর কূপ! ডুবেছে,  
স্নেহ ভরা চাঁদ আর তার মাতাল শাবক;
একগাদা নিহত বিশ্বাস, আছে ভুলভাল দিক দেওয়া-
পাগলাটে চুম্বক, যার ফাঁদে পরে এই হয়রানি!
পাললিক পাদদেশে মূলত রেখেছ জলজ্যান্ত আমাকে,
কেউ তা জানেনা; শুধু জানি আমি!

আজকাল প্রসারপিনার সাথে বেড়েছে দেন দরবার,
অশ্বমেধের ঘোড়া সোনালী ঘাস খেতে গিয়ে,
বারবার ডুবে যায় ম্যানহোলে! তারপর অনন্ত শূন্যতায়-
ভেজা মাঠে অকারণে বয়ে চলা জীবনের মোম ছাঁচ!
ভারচুয়াল বিপ্লবে নিশ্চয়ই পেয়েছে এই আন্দাজ,
জন্মাবে না আর লক্ষ্যভেদ করে এমন কোন তীরন্দাজ!
তবু তুমি উত্তরের বাতাসে অপেক্ষায় আছ ম্রিয়মাণ-
আশ্বাসে; দেখা হবে কোন এক উপসাগরীয় সকালে,
নাস্তায় মুখোমুখি কফির টেবিলে! মেনুতে-
দুঃখের সাথে গ্রীল করা স্যামন; পথ ভুলে চলে এলে,
ফুটফুটে অনাবিষ্কৃত প্রজাতির কোন প্রজাপতি,
বলো তো প্রিয়ংবদা নাম তার দেবে কি?
তাহিতির ঝলমলে রোদ নাকি নির্ঘুম মেরুজ্যোতি!