কোমল বৃক্ষ তুমি পালালে কোথায়?
বিসর্জনের দিন আয়ু শেষ প্রেমের প্রতিমার,
ভেবেছি আশ্রয় নিব ভেজা উঠানে তোমার!
এমন দুঃসময়ে হেসে বলে প্রবীণ উন্মাদ,
আকাশ আঁকানো হাতে,
গাড় নীল লাগিয়েছে কেউ পুরানো সাদা শার্টে!
পুরোটা অবাস্তব নাকি হলদে কুমারী চাঁদ!
বৃক্ষ নেই! চাঁদ নেই! নেই কোন ছায়া!
হারিয়েছে সব তাসমানিয়ার মৃত বাঘেদের সাথে,
আমিতো তবুও আছি! আমার ভিতরে আছি,
দেয়ালে টাঙ্গানো শুধু নিখোঁজ সংবাদ!
হারানো বৃক্ষদের সারি সারি নাম ধরে,
মাইকে ঘোষণা দিচ্ছে অজ্ঞাতবাসী কোন লোক,
মোচড়ানো ব্যাথার মতো বুক করে টনটন,
সেখানে অনেক নাম! তুমি আছ! আমি আছি!
মৃত পদ্মেরা আছে!
নীল জল নিয়ে তার স্ফটিকের মতো বুকে,
শিশির ঘুমিয়েছিল জড়িয়ে আকাশটাকে!
এখন সেওতো নেই! আহ্লাদী মেয়েটিও নেই!
মেয়েটি বলেছিল সে এক লতানো স্রোতের জল,
দিয়ে যাবে প্রেম বাতাসের মতো,
তারপর আকন্ঠ মগ্নতা,
রূপালী বৃষ্টি হয়ে একযুগ ধরে ঝরেছিল কথকতা!
মেয়েটি ছিল ঠিক কবিতার মতো!
ভরা সাগরের জল তুমি হারালে কোথায়?
তার ছবি এলবামে, টাইমলাইনে,
প্রাইভেসি দিয়ে রাখি খুব সযতনে!
শুধু নিখোঁজ সংবাদ দোল খায় বাউলা হাওয়ায়,
একা একা দোল খায়,
মেয়েটিও দুলত ঠিক এরকমই দোলায়!