হৈমবতী এসো চোখে চোখ মিলিয়ে রাখি,
ফুটছে আলোয় সূর্য্যকণা,
কলমি ডগারা ডাগর হয়ে তুলছে আগ্রাসী ফণা,
ক্লান্তিকর নীলে মেঘেদের অনেক পোড়া বাকি!
তবুও তো প্রেম অপেক্ষা মানেনা,
হৈমবতী তীব্র তুষার যুগে প্রেম অপেক্ষা জানেনা,
এসো ক্ষণিকের সু্যোগে হাতে হাত রাখি!
বাড়ছে নদীর ক্ষেত্রফল,
চুপিচুপি তাতে আনাগোণা করে জলের ফসল,
এমন তীব্র স্রোতে প্রত্যাশা ভেসে যায়,
ভেসে যায় আমবাগানের মতো স্নেহের সংসার!
হৈমবতী এসো পালকে পালক ঘষি,
ঠোঁটে ছুঁই ঠোঁট,
আসলে আসুক টর্নেডো কিংবা মৌসুমী ঝড়!
রুক্ষ হাতটা রাখা ছিল টেবিলে,
এসপ্রেসো কফি কাপ তাতে তুমিই ছোঁয়ালে,
আঙ্গুলের ডগা বেয়ে রোমাঞ্চ ঢুকল শিরার ভিতরে,
অথচ রুক্ষ হাতে অসমাপ্ত প্রেমের রেখাটা,
হ্যাংলা যুবকের মতো ফ্যালফ্যাল করে,
ছিলতো তাকিয়ে প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে!
এতোটা দীর্ঘকাল!
তুমি কি পাওনি টের কিছুই তার?
রুক্ষ তালু ধানের ক্ষেতের মতো হলোনা কোমল,
শুধু করোটির মধ্যখানে জন্মাল প্রেমের চারা,
বিষাক্ত তার ফুল ফল!
হৈমবতী এসো প্রতিষেধকের মতো,
নিয়ে নেই শরীরের পেশীতে,
তোমার ঘ্রাণের নির্যাসে গড়া দুর্লভ ভ্যাক্সিন!
হৈমবতী এসো জীয়ল কূপের গভীরে নামি,
ওইখানে প্রেমে পড়ে ডুবেছেন সম্রাট অশোক,
সায়ানোব্যাকটেরিয়ায় খেয়ে নিল শিলালিপি!
আমরা ডুবব! আরো গভীরে ডুবব!
যেখানে তুমি আমি প্রভেদ ভুলে যাবে ভব!
ক্ষতি নেই তাতে,
তুমি না থাকলে বরং ভেংগে যাব ঠুনকো ধাক্কাতে!
তার চেয়ে বরং ডুবে যাই এসো,
এসো হৈমবতী ডাকছে জীয়ল কূপ!
ফিরে এসো হৈমবতী ফেলে যাওয়া নীড়ে,
জ্বলছে শহর নিষিদ্ধ শিশিরে!
ফণা তুলে আছে বাতাসের প্রতিটি গ্যাসীয় অণু,
আমিনবাজার থেকে আরিচার ঘাটে,
বসে আছে প্রবাসী শ্রমিকের মতো,
বোতাম ছেঁড়া শার্টে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ কতো!
হৈমবতী ফিরে এসো,
তুমি এই অতৃপ্ত ক্ষোভের একমাত্র দাওয়াই!
ফিরে এসো হৈমবতী! আকাশে বৃষ্টি ঝরে,
আমার চোখের কোণে রাজ্যের জল!