করোটিটা ঝুলে গেলে এটলাসের উপর,
অক্ষিগোলক দুটি সার্চলাইটের মতো পাক খায়,
শানে বাঁধা পুকুরে, শহুরে বিষাক্ত জংলায়!
হুড়মুড় করে নেমে আসে মেঘ,
একটা স্মৃতির কাছিম ধীর পায়ে হেঁটে যায়,
তার চোখে শতবর্ষী অপেক্ষা আজো দীপ্যমান,
দেখেও দেখিনা তাকে আর,
হয়তো এ আমার এক অনতিক্রম্য অভিমান!
প্রচন্ড আলোয় দুপুরের ভয়ে চুপসানো রঙ্গন,
আমিও চুপসে থাকি,
মহাবিশ্বের অধিকাংশ তো অন্ধকারে ভরপুর,
কিভাবে বাসব ভালো ঝলসানো দুপুর?
সূর্য্য করোটিতে নিয়ে হেঁটে গেলে ধীর পায়ে,
জানো তার পর পার হলো আরো হাজার বছর,
পড়ে আছে যুদ্ধক্লান্ত এই রানওয়ে,
ফেলেনা কোন উড়োজাহাজ তাদের নোঙ্গর!
ধীরে পায়ে এসেছিল যারা চলে গিয়েছে দ্রুত,
বরেন্দ্রর লাল কাদা হৃদয়ের মতো সুদীর্ঘ,
দ্গদগ করে সুষুম্না কান্ড জুড়ে তীব্র ক্ষত!
এমন তীব্র ব্যাথা ফালাফালা করে চাঁদ রাত,
ব্যর্থ মরফিন! অন্ধ চেতনানাশক!
অথচ কি চমৎকার অবহেলা নিয়ে প্রায়ই,
কফিতে মেশাই নিকোটিন,
মানুষের স্নায়ু সয়ে নেয় একদিন সব,
চিনচিনে দুঃখ; অকারণে খুলে রাখা পাঁজর,
শরীর আটকে রাখা সামাজিক পাঁক!
জীবন মানে মৃত রাজপথে প্রতিটি সকালে,
অভ্যাসবশত মর্নিং ওয়াক!
চলে গেলে কেউ খুব দ্রুত মিশে যায় ছায়া,
দ্রুতগামী জেট বিমানের মতো শব্দের আগেই,
বিগত ছায়ারা আজকাল বড় বেশি ঘুরঘুর করে,
সকালের ঘুমে! জরুরী মিটিং এ……।
মাঝে মাঝে ভাবি শাসাব অনেক,
পরক্ষণে টের পাই তারা মিশে আছে আমাতেই,
বাজাচ্ছে নুপূর বিধ্বস্ত করোটির ভিতর!
বলেছিল প্রভাবতী- ‘না থাকলে কাঁদবে কি তুমি?’
‘আমার দুঃখ গুলো জানবে কি কখনো!’
গার্হস্থ্য উঠানে বিষণ্ণ হয়েছিল সন্ধ্যামালতী,
সে নাকি এখন থাকে সোনার খাঁচায়,
সুবর্ণ কঙ্কণে রূপার দর্পণে সেজে বসে থাকে ঠায়,
আমিতো আকাশে উড়ি চালচুলো হীন!
আহ্লাদী গ্রে প্যারোটের ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না,
সন্ধ্যার পাখি যারা; ঘরে ফেরা আকাশচারীরা,
কখনো বোঝেনা!