অনেক করে লিখতে চেয়ে লিখতে পারি না আর,
অনেক করে ভাবতে গিয়ে কোথায়
যেন এলোমেলো হয়ে যায় সবকিছু,
মন মন্দিরে আর ঠায় বসে থাকতে চায় না অস্থির সন্ন্যাসিনী
কি করে চাইবে?
ভিক্ষুকের কদর যে নেই,
তা ছিল না কোন কালেও।
ভিক্ষুক কখনো তো আর দেবতার আসনে বসতে পারে না;
সেই সন্ধ্যাতারা সেই জোছনারাত, সেই পুর্ণিমা,
সময় গড়িয়ে সবই ফিরে আসে,
শুধু জীবনের ঐ মুহুর্ত গুলো আর ফিরে না,
কি কপট বাস্তবতা, সব কিছুই অবাস্তব মনে হয়-
তারপরেও জীবন ছুটে যায়,
নিগূঢ় রহস্য উম্মোচনে ব্যাকুল হৃদয়ে।
ভালোবাসা, এ নাকি দিল্লীর লাড্ডু,
খেলে কিবা না খেলে দু'টোতেই নাকি পস্তাতে হয়,
পস্তানোই যখন সার কথা
তখন আর অভুক্ত থাকি কেন?
কিন্তু স্বাদের যে এত করুণ অবস্থা হবে সেটা কে জানত,
সাহেবের বউয়ের কর্কশ কন্ঠের চেয়ে-
ভালবাসা খুব বেশি যে মিষ্টি নয় তা
বুঝতে আর বাকি থাকল কই?
ওদিকে মাথার চুলও পড়ে যাচ্ছে।
বুকের ভিতরকার মন্দিরেতে যন্ত্রণাও হচ্ছে ভালই।
চুলের যন্ত্রণা, মনের যন্ত্রণা, প্রেমের যন্ত্রণা...
যন্ত্রণার কি শেষ আছে?
এত কিছুর মাঝে প্রেম নেই, ভাবা যায়!
টাক মাথা তো আর ঢেকে রাখা যায় না,
ওটা লুকিয়ে রাখার জিনিষও নয়।
না প্রেম না নারীর ভালোবাসা
কোন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
সব কিছুই ধোঁয়াশা।
অথচ পাড়ার উঠতি ছেলেরা নাকি
বক শিকারের মতই প্রেম শিকার করে!
আমার যে কি হবে?
সন্ন্যাস জীবন তো মাঠে মারা পড়ল,
প্রেম! উহু তাও হল না।
মন মন্দিরে যে সন্ন্যাসিনী উকি দিচ্ছিল
সেওতো আজকাল দেখলে আমাকে কোমর খিঁচে বাধে,
কি যে করি!
আচ্ছা, সন্ন্যাসিনী আমার কি হবে বলত?
প্রশ্ন যে করলাম বুঝতেই পারছে সে,
তারপরেও সন্যাসীনি বলল, "কি চাই?"
আমি তথৈবচ,"ইয়ে মানে পানি চাই, পান করব।"
"পানের যোগ্যতা যার নেই আমি তাকে পানি দিইনা।"
অমন সুন্দর সন্যাসীনির মুখ থেকে অমন কথা কারুরিই কি ভাল লাগে!"
আহারে, কি মিষ্টি কথা!
বলিহারি, আমি ছাড়াকি কেউ তার খোঁজ খবর নেয়?
"এইত নিল কেউ, কোন এক ভিক্ষুক পানি প্রার্থি।"
ওমা ভালই যন্ত্রণা হলতো,
আমিই নিজেই বুঝি না, আমি কি বলি আর কি চাই,
সন্যাসীনি দেখি আস্ত সাধক যেন সবই বুঝে ফেলে।
তো এতই যখন বুঝ গো সন্ন্যাসিনী, এইটুকু কেন বুঝ না,
এই ভিক্ষুক কি চায়?
এতই যখন বুঝ-
তখন এই আলাভোলা ভিক্ষুকের গলায়-
মালা পড়াতে এত ধোঁয়াশা কেন তোমার?