পদ্মার ঢেউ যেন ভেতরে এক হাহাকার বাজনা বাজায়,
পদ্মা নদীতে যেন এই রক্তিম বেলায়
সূর্যের আলো আর নদীর ঢেউ নবরূপে সাজায়।
নবললিতা আছে সামনে যেনআকাশের লালপরী,
কালো কেশ দিয়েছে ছেড়ে,
দেখে যেন এক মহাউল্লাসে মরি।
কে তুমি অনামিকা? চিনি না তোমায়
তব নাকের বামে ছোট্ট তিল,
দেখে তোমায় ভালো লেগেছে আমার
নদীর মতো আনন্দ প্রসারিত আমার অনাবিল।
পলকহীনভাবে তাকিয়ে থাকতে চাই
পারি না কারণ লোকজন তাকিয়ে থাকে,
মাঝে মাঝে এক পলক তাকাই
তাতেই মনের শিল্পী-মনে ছবি আঁকে।
পদ্মা নদীর মাঝে হলো এ কি আমার
মনের মাঝে শুধু হাহাকার,
কেননা কিছুক্ষণ পর যখন চলে যাবে
তার সাথে দেখা হবে না তো আর।
তবুও তার ছবিটি যেন আমার
মনে হয়েছে আঁকা,
মন বলে ওগো কবিতার ছবিটি যেন
হয় স্বযতনে রাখা।