কবিতা কবিতা কবিতা !
লেখা হবে দু'চার লাইন ।
হয়তো বা সুখের, নয়তো বা দুঃখের ।
হয়তো আনন্দের, নয়তো বেদনার।
মনের মাধুর্য দিয়ে লিখল কবিতা কবি!
আর এঁকে নিল হৃদয়ে পূর্ণতার ছবি।
কবি সুখের ভাগ দিয়ে দিল তাড়াতাড়ি
কিন্তু দুঃখের ভাগ দিতে করে একটু দেরি।
নির্জনে বসে লিখে গেল তার মনের যত কথা
না জানি তার মনে আছে কত দুঃখ, জ্বালা, ব্যথা ।
তবুও কবি কবিতা লিখে এই মানবের জন্য
কবি মানবকে কিছু দিতে পারলেই মনে করবে সে ধন্য।
শুধালো একজন— তুমি ভালোবাস কারে?
উত্তর এল- 'কবিতা'।
তার পরই একটি কবিতা পড়া হল
“কবিতা কবির ভালোবাসা,
কবিতা কবির স্বপ্ন-আশা ।
কবিতা কবির সুরভিত ছন্দ,
ভালোবাসায় আছে সৃজনতার গন্ধ।
এই কবিতা কবির প্রেম,
কবির মনের আশা-ভরসা
কবি তাই করেছে বরণ,
কবিতাই কবির জীবন-মরণ।”
প্রতিটি মুহূর্ত চলে কবির ভাবনায় ভাবনায়
সুখে হাসে আর কাঁদে দুঃখের তাড়নায়।
কবির দু'টি চোখে যখন অশ্রু ঝরে
হাজারো দুঃখের ছন্দগুলো তখন যায় মনে পড়ে।
নিরালায় বসে কবি ভাবে
সকাল-সন্ধ্যা কেটে যায় ভেবে ভেবে।
বসে বসে কি যেন ভাবছে...
তাই দেখে একজন শুধালো আবার 'কী ভাবছ কবি? কী চাও তুমি?'
কবি বলে, 'ভাবছি মোর কবিতা নিয়ে।
মোর কবিতা যদি মানবের কল্যাণ করে
তবেই তো শান্তি পাব আমি মরে।
কবি চায় ছন্দ, কবি চায় শ্রুতিমধুর শব্দ
কবি চায় গান, কবি চায় কবিতা
কবি চায় করতে শব্দের চাষ
কবি চায় বুনতে কবিতার বীজ
কবি চায় মানবতার জীবন
কবি হতে চায় অমর।
হাজারো কবির এ চাওয়া তাদের মতো আমারও
না জানি হবে কি না পাওয়া?
পৃথিবীতে এসে চেয়েছি একটু ভালোবাসা পেতে পেয়েছি অনেক তোমাদের কাছে।
তোমাদের কথা ভেবে ভেবে লিখেছি ক'টা কবিতা সময় পেলে একটু উল্টিয়ে দেখ
ভালো আমায় বাসো আর নাই বাসো
তোমাদের কাছে জোর দাবি মোর
আমার কবিতাকে ভালোবেসো।