উচ্ছল-উড়ন্ত,দূর্বার-দূরন্ত
শুভ্র তুষারে প্রভাতচন্দ্র,
তিমির আধারে উল্কাপিণ্ড,
তোরা অরুণ,তোরাই তরুণ।
কলুষিত সভ্য সংস্করণে
তোরা দিগ্বিজয়।
তোরা বিশ্বের বিশ্ময়।
তোরা মরণকে করে বরণ হবি মৃত্যুঞ্জয়।

চারিদিকে হাহাকার,
ধ্বংস লীলায় নিরাকার।
রুন্দ্রে রুন্দ্রে দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার।
তা দূরীকরণে উচ্চ শিরে তোরা অগ্রণী তেলোয়ার।

মৃত্যু ক্ষুধা নিয়ে বক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়া
ক্ষুদিরাম তোরা।
তোরা প্রীতিলতা।
তোদের দূরদর্শনে-অন্তিম আহ্বানে
দূর হবে আছে যত দারিদ্রতা।

তোরা ঘুরন্ত কক্ষ পথে উড়ন্ত নখত্র।
শান্তির দূত তোরা,সমরে অশান্ত।
বজ্র কণ্ঠে দীপ্ত হুংকারে তোরা অনন্ত।
ভেঙে দিয়ে সব রাজতন্ত্র
নব্য রুপে সূচনা কর্ একবিংশের গণতন্ত্র।
বিজয় মাল্য না পড়া অবধি হসনি তোরা ক্ষান্ত।

তোরা উচ্চ করে শির
খুঁজে দিবি নীড়
নীড়হারা হিমাদ্রির।
তরুণ-তরুণী তোরা
তোদের নেই দেশ-
নেই জাতি,
তোরা বিচিত্র পুষ্পে গড়া
যেন একটি ফুলেরতোরা।

ভয়-ভীতি সংকা
আছে যত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
পদদলিত করে তরুণ
বাজারে বিজয় ঘন্টা।
তোরা আলফ্রেড টেনিসনের ইউলিসিস
তোরা নজরুলের রণসংগীতে সুর তুলা শত্রুর পেয়ালায় বিষ।

ভূতল হতে শূন্য ভূলোকে
উত্তর গোলার্ধ হতে দক্ষিণ গোলকে।
সন্ধানী অক্ষি করবে তোদের তীক্ষ্ম বিচরণ।
নিত্য নব্য আবিষ্কারে মত্ত রবি তোরা,আমরণ।
মরচে পড়া খোলস ভেঙে ভাবি সভ্যতাকে দিবি তোরা মানবিক আভরণ।

সমুদ্র সোপানে সঞ্চিত গোপনে-
আছে যত মণিমুক্তো গুপ্তধন,লুক্কায়িত মণিকাঞ্চন।
আহরণে অগ্রগামী তরুণ-
অতিক্রান্ত করে মহাপ্লাবন।
দেশ-জাতি,
আছে যত মহারথি।
অপেক্ষারত-
করিতে তোদের বরণ-
দিয়ে পুষ্পভরা রঙিন তোরণ।

তোরা শ্মশান করে অবসান
রোপণ করবি তোরা তরুচ্ছায়ার বাগান।
শোষণ,নিপীড়ন মোড়লদের অপশাসন,
করিয়া অপসারণ,
অনাথ-দুঃখী আর অনাহারীর ক্ষুদা তোরা করবি নিবারণ।

তোরা চেগুয়েবারের সূর্য সৈনিক
তোরা দুর্জয়,তোরা নির্ভীক
বর্জ্যের মত গর্জে উঠবি তোরা আকস্মিক।
তোদের দূরদর্শনে খুঁজে পাবে দিক-পথহারা নাবিক।
তোদের জাদুু স্পর্সে  অর্জিত হবে জাতির উন্নয়ন- সার্বিক।
তোদের উত্তর-উত্তর সাফল্য নিয়ে,লিখবে কবিতা আছে যত কবি-সাহিত্যক।

রুগ্ন আর শরণার্থীদের মানবিক সেবায় সঁপে দিয়ে প্রাণ।
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গীলের মতো তোরা হবি ইতিহাসে অম্লান।
তোরা ঊর্মিলা সলিলে জয়ধ্বন্বনী কলোত্তান।
তরুণ তোরা অরুণ তোরা
তাই তোদের করি আহব্বান।