সাফা-মারওয়া ইতিহাস খ্যাত একটি স্থান
যেখানে আত্মত্যাগী মানসপুত্র হতে যাচ্ছিলেন কোরবান।
জীবনের পড়ন্ত বিকেলে বিবি হাজেরা কোলে
এল এক ফুটফুটে সন্তান
তিনি পিতা-মাতার অমূল্য রতন যেন প্রাণের-প্রাণ।
বিধাতার আদেশে
স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে
মাতা, শিশু পুত্র সহ
নির্বাসনে আসে,
সাফা মারওয়া পাদদেশে।
এক ফুটা জল পেলেন না
পিপাসার্ত শিশুর মুখে দিতে অবশেষে ।
বিধাতার আদেশের পরে,
তপ্ত মরুপ্রান্তরে,
পানির ফোয়ারা ঝড়ে,
শিশু পুত্র উঠে নড়েচড়ে,
তৃপ্ত হয় সে,পানি পান করে।
সৃষ্টি হয় পৃথিবী খ্যাত জমজম কুয়া তপ্ত বালুচরে।
বিধাতার অগ্নি পরীক্ষায় পিতা আবারও
হলেন দন্ডায়মান।
স্বর্গীয় আদেশ পিতা দিবেন নিজ সন্তান কে কোরবান।
স্বপ্নে দেখা আদেশে,
তিনি পুত্র সাথে রওনা দেন, কোন এক দিবসে
মরুভূমির এক নির্জন নিবাসে।
শয়তানের শত প্ররোচনায়ও পুত্র আত্মত্যাগে অবিচল
পিতার প্রতি পুত্রের আকুতি,
চালান ছুড়ি, ফেলবেন না এতটুকু চোখের জল।
নীরব সাফা মারওয়া
নীরব জমজম কুয়ার জল
দেখে পিতা পুত্রের স্বর্গীয় আমল।
ঐশ্বরিক ইশারায় পশু হল কোরবান
পিতা ও পুত্র আল্লাহর পরীক্ষায় সমান সমান।
তাই আত্মত্যাগে হয়ে বলীয়ান
ইতিহাসের পাতায়, তাঁরা হয়ে আছেন মহান ।
শতবর্ষ পরেও তাদের স্মৃতি রয়েছে অম্লান,
তাদের স্মৃতির তরে আজও কোটি কোটি পশু হয় কোরবান।
হজ্জ পালনে তাই
ছুটছেন সাফা-মারওয়ায় লক্ষ কোটি মুসলমান।
প্রভু তুমি কর মেহেরবান
যেন আত্মত্যাগের মহান শিক্ষায়, তাঁদের মতো হতে পারি মহীয়ান ।