দিগন্ত জোড়া শস্য শ্যামল মাঠ আর বিচরণ ভূমি
ধান ভুট্টা আর শর্সে ভরা সমতল জমি
কি অপরূপ ছিলে
হৃদয়ে তুমি ।
মাঝি মাল্লার গলা ছেড়ে উজান দেশের গান
কৃষকের ঘর্মাক্ত হাসি আর মাঠ ভরা পাকা ধান।
স্মৃতি বিজড়িত সেই আম বাগান
মনে করে আজও নেচে উঠে আমার পরাণ।
কত বকা, আর কত ধমক খেয়েছি,আম করতে গিয়ে চুরি
তেরে এসেছে ভাঙা লাঠি নিয়ে, শতবর্ষী কুঁজো-বুড়ি।
প্রভাত গিয়ে সন্ধ্যায় হত উড়িয়ে নাটায়-ঘুড়ি ।
ঘুমের ঘরে জেগে উঠতাম স্বপ্নে দেখে রাঙা-পূরী।
গোল্লাছুট আর কানামাছি ভু ভু
দাড়িয়া বান্দা আর বর্ষার পানিতে বড্ডই খেলা
ডাং টিং খেলে-খেলে পড়ে যেত বেলা।
গ্রাম্য যাত্রা আর বৈশাখী মেলা
স্মৃতিতে আজও সব দিয়ে যায় দোলা।
পৌষ পার্বণে নয়া ধানের পিঠা
খেজুরের রসে তৈরি নাড়ো আর মিঠা
প্রতিযোগিতা করে খেয়ে নিতাম পুরোটা ।
নির্জনতায় তাই আজও উল্টাইয়া দেখি স্মৃতিবিজড়িত সেই পুরাতন ডাইরিটা।
রাতের প্রহরাজ জোনাকির আলো
আর ঝি ঝি পোকার শব্দে মাতানো আঁধার কালো।
সন্ধ্যায় চিমনিতে ময়লা পড়া হারিকেনের মিটি মিটি আলো
আজও হৃদয়-মনন স্মৃতিচারণে হয় এলোমেলো।
সন্ধ্যা রাগে বাঁশঝাড়ে
বিচিত্র পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ
শুনে শুনে কেটে গেছে শৈশবে স্মৃতিবিজড়িত মধুর এক অব্দ।
হৃদয়ে দাগ কেটে যায় আজও
দিগন্তু থেকে উড়ে আসা বুনো হাঁসের দৃশ্য ।
হাড় কাপানো শীতের প্রভাতে
জড়ো হতাম সূর্যের আলোর আভাতে।
উষ্ণতার আশায়,
খড়কুটোর অগ্নিশিখায়
জড়ো হতাম বৃদ্ধ বালক সবাই ।
এসব স্মৃতিচারণে আজও আমি মুগ্ধতা পাই।
ভুলবনা তোমায়
সৌরব গাথা শৈশব স্মৃতি
তুমি আমার হৃদয়ের যতি।