এমন করে তেমনটা কখনো ভেবে আমি দেখিনি ,
অন্তরে আমার স্বরূপের ঘর,-- তার কথা ভাবিনি ।
সে যে বড়ো সহজ- সরল,
জলে ফোটা সদ্য - কমল;
শেকলে বন্দি নিজের স্বরূপ, খোঁজ কেন রাখিনি ।
যে ছিল আমার খেলার সাথী,লালনে- বলনে- কথায়,
আজকাল মূর্ছিত রোগে ভোগে ,-আমারি অবহেলায় ।
কতো বলি তারে আয়না সহোদর !
কেন তবে আমায় করলি এত পর,
আবরণী লোভে ঢাকা পড়ে আছে সব,-মত্ত- নেশায়।
ভেবে দেখেছিস তুই বাল্যকালের সেই সারল্য মুখ,
সবি আছে তোর এখন, তবু কেনো নেই একটু সুখ?
হু হু করে বাতাস ঢোকে বাতায়নে,
তবু কি শীতল ছোঁয়া আনে প্রাণে ;
মনে-হৃদয়ে চলে অহর্নিশি যুদ্ধ, এ যে কত বড় দুঃখ ।
গেলাস ভরে ভরে গিলিস মদিরা, এতে তুই কি পাস ?
আমি দেখেছি গিলে, কি বিচ্ছিরি স্বাদ,এই বুঝি খাস !
বিস্বাদে র মাঝে আছে কি সুন্দর,
হৃদয়ের পেলবতা পোড়ে যেন খড়,
শুধু ধু ধু জ্বলে গলে পড়ুক হৃদয়,- এই বুঝি তুই চাস!
নিজের মাঝেই নিজেকে হারিয়ে,-চলে গেছি বহু দূরে.....
সেখান থেকে আমর স্বরূপ, আসবে কি কখনো ফিরে?
বৃত্তের পরিধিতে যত খাব ঘুরপাক,
চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে যত ছাড়ি হাকঁডাক;
হৃদয়ের মলিন যদি না সরাই, থাকবে না স্বরূপ অন্তরে।
বাবুল আচার্যী 17/01/2021