ওগো অনিন্দিতা ! তুমি যে মোর নন্দন বিহারী ;
সঙ্গোপনে ধীরে ধীরে নিলে মন করে তুমি চুরি ।
অসীম প্রেমাস্পদ তুমি মম হৃদয়ের মাঝে ;
আলোড়নে শিহরণ জাগে যেন প্রতি কাজে ।
হে বিশ্বপিতা ,রচনা তব বিচিত্রা অনিন্দিতা,
লহ মোর প্রণাম, তুমি যে সকলের বন্দিতা ।
রচিলে কোমল তার তনু মন ভরে স্নেহলতা,
রয়েছ বৃক্ষ ভেবে মোরে জড়ায়ে কোমলতা ।
বৃক্ষ ভেবেছিল আগাছার মত এসেছিল তুমি,
আজ চিত্ত সুখে বলে,তুমিই হৃদয়ের বাসিনী " ।
তোমার নিন্দুক ঘনশ্যাম যায় মন ছেড়ে বনে ;
মায়াবিনী ,জাগাও মায়া তার ত্বরে ক্ষণে ক্ষণে।
সেও অভিসারে বলে এমনটি আর দেখি নাকো ,
হাপছাড়া ভালোবাসা বলে, " তুমি ভালো থেকো " ।
শঙ্খনদীর ঘাট থেকে বউঠান যে জল তুলে হায় !
সে জল বহু ঘাট ছুঁয়ে এসে জীবন নদে মিশে যায় ।
আমি দেখেছি অজানারে,পেয়েছি তোমারে, অন্তরে ;
তাই গঙ্গার জল মাথায় নিয়ে, নমি আমি বারেবারে ।
কস্তুরী আভার চাঁদ সে,আলো দেয় যে আঁধারে ;
চিন্তায় আনে সে স্নিগ্ধতা ,বসন্ত আনে বাহারে ।
সে আমার দ্বার পাশ, দ্বার রাখে সদা সে খুলে;
বয়ে যাই তৃপ্তির কূলে,বাগিচায় ফুল হাসে দুলে ।
তার পাশ দিয়ে গেলে অধরা মাধুরী জেগে ওঠে ;
যেন বহুকাল পরে জল প্রপাত বয় শুষ্ক নদীতে।
সে যেন উচ্ছল সাগরের জলরাশির সমুদ্বিতা ;
অনু অনুতে অনুভূতিতে খুশির বেগ- প্রবাহিতা ।
বয়ে যায় যে হৃদয়ে তার জলের ধারা কলকল ;
ছন্দে ছন্দে আমার অনুভূতি-প্রাণ করে ছলছল ।
তরঙ্গ স্পন্দন জাগায় আমার মন- প্রাণ জুড়ে ;
তপ্ত রক্ত শিরায় নীল ধারা তার ত্বরে বহে নারে ।
আকাশ পানে চেয়ে এখন এ কথাই মনে আসে ;
তুমি মহতী, দুনয়ন -মন -আত্মজার সমাবেশে ।
তাকে দেখে মনে হয় , হয়ে যাই অবিনশ্বর কবি;
মনের ক্যানভাসে আঁকি তাই তারই মনের ছবি ।
বাবুল আচার্যী 02/08/2016