কোরোনার ভয়ার্ত নিঃশব্দ হাহাকার
মন ধূ ধূ বালুচর যেন
লোকালয়ে
শুষ্ক পত্র মর্মর দিনে এক পশলা বৃষ্টি হল ;
ভিজিয়ে দিয়ে গেল কচুপাতা, সবুজ ঘাস, গেরুয়া রঙের ধুসর প্রান্তর ।
ধরণীর অলিগলি আজ কতো মনোরম ও শান্ত
চলে গেছে যত সব বায়বীয় গল যোগ ও বিভ্রান্ত
অশ্রু ক্লান্ত নমনীয় চোখের দর্শন শাস্ত্র যেন
তিক্ত বিষ ভরা বায়ুতে যার উদর ছিল এতকাল টইটম্বুর
আজ সে গিরিশ হিমাদ্রির মতো যেন বেশ গম্ভীর
আজ যেন সে পেয়েছে বড়ো ক্লান্তির পরে প্রশান্তি
আজ তাই বড়ো আরামে ঘুমিয়েছে অনেক রাত্রি
দিবা ভাগে দেখা যায় তার তায় ফুরফুরে মেজাজ
তায় সে বিলিয়ে বেড়ায় কোমল ও মর্মস্পর্শী ভিজা বাতাস
মিটে গেছে জীবনের নাগপাশ বন্দী হাহাকারী হাহুতাশ
অনেক কাল পরে সেজেছে আজ সে নূতন সাজে
গাছের পাতাগুলো তায় রঙীন আলোয় মেতে  উঠেছে ।
সবুজ হয়ে উঠেছে আরো সবুজ
এতকাল আমরাই ছিলাম যেন অবুঝ
বুঝতে চেয়েও বুঝিনাই পত্রপল্লবে র মর্মর ব্যাথা
লুকিয়ে ছিল হৃদয়ের পিঞ্জরে কতো অব্যক্ত কথা
ওরা কি বলতে কি চায়
লাজুক প্রকৃতি বলতে পারে নায় সে সব নির্দ্বিধায়
উত্তপ্ত ধরণীর বুকে আজ ঠাণ্ডা হাওয়ার পরশ  ,
সব হারাতে হারাতে পেয়েছে যেন মনেতে হরষ
বুকফাটা ধরণীর চৌচির হৃদয়টাকে শীতল করার যেমন
বৃষ্টির আসা যাওয়া আছে
ঠিক তেমনি
তুমি আছ .... তাই আমি আছি।
এখনো আঁকড়ে আছে জানালার কাঁচের শার্সিকে।
অসংখ্য জলবিন্দু গায়ে লেগে আছে,
অনেকটা নদীর গা-ঘেষে প্রস্তর গজানোর মত।
কাঁচ ও জলবিন্দু কোলাকুলি করে বহুসময় ধরে,
হৃদয়ের তৃপ্তি পূরণ করে বিলীন হয় বাষ্পহীন বায়ুতে ।
ধরনীর সাথে মেঘের নিবিড় সম্পর্ক ... মেঘ-জল-বরফ-বাষ্পের মত;
এ ভালবাসা ও পরিক্রমণ যুগ যুগান্তরের ।
আমি চেয়ে থাকি ও ভাবি!
মানুষ মানুষের মাঝে নেই কেন এ গমন, পরিক্রমণ ও অটুট অচ্যুত প্রেমলতা ;
যে জড়ায়ে আসে শেষ   নিঃশ্বাসের গমন কালেও ।

বাবুল আচার্যী