ডুমুর গাছ, তুমি যে সদর্থে অর্থ বাহক জীবনের;
নেই কোন শ্লাঘা, দপাদপি,
নেই আড়ম্বর ঝাপাঝাপি;
নেই সময়ের নিদাঘে বসন্ত বিলাপ ;
অগোচরে চলে শুধু নিরন্তর কার্যকলাপ।
নজর এড়িয়ে ফুল ,গোচরে আসে শুধুই ফল ফলানোর স্বার্থকতা ।
তোমার আছে কি কোন জীবনে নূন্যতম ব্যর্থতা ?
নেই কুঁরি, নেই প্রসব বেদনা
ফুল ও ফোটাও না_
কুঞ্জবনে র মধুপুঞ্জের ও নেই ,তায় আনাগোনা।
নেই কোন নিজস্বতার ব্যভিচারী উৎসব ,
নও অধীর,শুধু শান্ত ধীমান শূন্য কলরব ।
তোমার কৃত্তিবাসে নেই হৈ হুল্লোড়, আড়ম্বর ;
সময়ের লেলীহানে তুমিই ছুঁয়েছ দিগম্বর !
তুমি সমুদ্র মন্থন করো নাই যদিও_
তবু তুমি দেখাও অবণীর মানবেরে জনমের উৎকর্ষতা।
সময়কে যথার্থ করো সার্থক,গড় আচার সংহিতা ।
আমি বিহ্বল তোমার জীবনাদর্শে !
যখনই চোখে পড়ে, দেখি- তোমার বৃন্তে বৃষ্টির মত অপরূপ সৃষ্টি ;
ঢলে পড়ে দৃষ্টি ,
গুচ্ছে- গুচ্ছে, টইটম্বুর বৃত্ত ফলের সমাহার ।
এ ত জীবনে তোমার সৃষ্টির মণিহার ,
অঙ্গে সাজিয়ে দিয়েছে সময় সময়- কর্ষনের উপহার ।
আনন্দে পত্র- চুল ওড়ে, তোমার শীতল সমীরণে।
নেত্র আমার পুলকিত,
সুখকর সেই দৃশ্য দরশনে
উড়িয়ে নিয়ে যায়, বাতাস আমার বিদগ্ধ আশা!
তোমার বাতাসে বুঝি আমি সময়ের পরিভাষা ।
প্লাবিত করে হৃদয়ের পলিমাটি, ফোটায় ফুল;
ধুয়ে দেব আমি তোমার চরণের ধূল ।
তোমার কৃতীর জলাধারে_
ভিজে গেছে মন ও হৃদয়;
তোমাকে দেখি আর ভাবি_
নেত্র খুলবে কখন সেই দ্বার?
আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে অপার_
উন্মীলিত হয়ে গজাবে ডাল, পালা, শাখা;
অন্তরে জ্বলবে শিখা? হবে জ্ঞানোদয়।
বাবুল আচার্যী 13/01/2021