বিলের কথায় জড়ো হলো ,সব তেতুল গাছের তলে,
গাছে চড়ে পারবে তেতুল, এসছে সব্বাই দলে বলে ।
সাধ জেগেছে সবার যখন,বায়না ধরে বিলের কাছে,
বাগান মালিক ভয় দেখায়,দৈত্য থাকে তেতুল গাছে!
ব্রহ্ম দৈত্যের নামটা শুনে,ছেলে পুলের হৃদয় কাঁপে;
ইচ্ছে করে তেতুল খেতে ,ভয়ের কথায় ভীষণ চাপে।
খগেন নগেন চরন বল্লো --চল রে সব বিলের কাছে ;
সাহস যদি থাকে কারো --এমন সাহস বিলের আছে।
ব্রহ্ম দৈত্যের অলীক গল্প, শুনে বিলে ত' হেসেই খুন,
এমন দৈত্যের হদিস পেতে,সবাই যাবো,বলছি শোন ।
দৈত্য যদি কাছেই আসে ,সবাই মিলে টানতে টানতে_
এমন তাকে শিক্ষা দেবো,পার পাবেনা আর পালাতে।
দুপুর বেলায় নিঝুম থাকে,বাগান মালিক তন্দ্রা যায়;
তেতুল গাছে চড়তে গেলে, ওটাই হচ্ছে উত্তম উপায়।
সেদিন ছিল দুপুর বেলা,বাগান মালিক তন্দ্রা-জ্বরে;
এই সুযোগে বাচ্চা গুলো,তেতুল গাছের ডালে চড়ে|
সঙ্গী সাথী র হৈ-হুল্লোড়ে, নীরব দুপুর কোথায় হায় !
তন্দ্রা- ছন্দ্রা দুটোই গেলো, ঘুমটা কর্তার ভেঙে যায়,
তন্দ্রা ভাবটা চলে যাওয়ায়,কর্তার হলো ভীষণ রাগ !
দেখতে আসে বাগান বাড়ি,-ছুটল সবাই ,ভাগম ভাগ।
মালিক দ্যাখে লেশ মাত্র,ভয়ের প্রভাব বিলের নেই ;
ঘাড় মটকাবে বহ্ম দৈত্য সবার আগে ওকে এসেই।
পাতার ফাঁকে উঁচিয়ে বলে, "ত্রস্ত মনের নেইকো ত্রাণ
ভয়ের থেকে পালিয়ে কবে, কে বা পেয়েছ পরিত্রাণ;
সত্যি মিথ্যা মনের আলোয় নিজ- চক্ষে দেখতে পাবি,
দেখবি শুনবি বাজিয়ে নিবি,- তবে কিছু মেনে নিবি।"
বাবুল আচার্যী 10/11/2019