অদৃশ্য অনুভবী বাতাস;
করো না তুমি আর হাহুতাশ !
তোমার ও যে উঁচু নীচু ঢেউ আছে ,
এক মরমী হৃদয় ,দরদী- কুল কিনারা আছে ;
সে ও ঝাউ গাছের ডগায় চড়ে আনন্দে নাচে।
দোল দোদুলে দুলে, গাছে গাছে ফুলে,টলমলে,
তালে তালে ঢলে,কিছু কিছু বলে,হাসির ছলে ।
ফুল কলিরা সব সুগন্ধি ভরে, যে যার জাত কুলে;
মৃগ নাভি বলে দেয়, সে কোন দিক থেকে আসে ।
নিশ্বাসে ছিটিয়ে যায় সুঘ্রাণ,চন্দনের কাঠে,ঘাসে ।
তোমার আমার ত্বরে ;
ফল্গু নদীর ধারে ,সবুজের পারে ।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে , সৃষ্টিতে ও কৃষ্টিতে।
সন্ধ্যার আধো আলোর দৃষ্টিতে;
মন মেলানোর ইচ্ছায়_
এ পথ চলতে চলতে , জীবনের ধারায় ।
ও হে বাতাস , তুমি নও ত্রাস!
তুমি যে আমার প্রাণের খাস ।
উদ্যত পাহাড় ও তৃণ ,নেয় যে নিশ্বাস _
তুমি যে সব প্রাণের অতি বিশ্বাস।
আশ্বাস উবে গেলে, নেয় সবে প্রশ্বাস ।
আমি যে দেখেছি তোমায়, রাত্রির রোদ্দুরে !
বেশ গুরু গম্ভীর তুমি, এই ভর দুপুরে ।
নিস্তব্ধ নিঝুম এলাকা, কুহেলির পতাকা!
উড়ে যাও একা একা, নেই কারো দেখা ।
রাত্রির ঘন কালো উদ্যানে ।
নির্জন নীরবে, ----------এই বিজনে ,
চলে এস ত্বরায়, গপ্পো করি দুজনে ।
বুঝেছি তোমার ইঙ্গিত ও সরল ভাষা ;
কবি হয়ে বুঝতে চাই, তোমার কি আশা ।
তুমি ও ছুঁয়ে যেতে চাও,
নৌকো দেহের ভাঁজ;
শৈল্পিক কারুকাজ ,রোমকুপে র উত্তেজিত ঢঙে ।
আগোছালো শ্যামলীর উত্তোলনী ঢেউয়ের বুকে ।
দিগ দিগন্ত পানে উড়ন্ত চুলে, সুন্দরীর খোঁপাফুলে;
সাগরের উতরোল আঁকাবাঁকা ঢেউয়ে,ভাটার কুলে ।
তুমিই কবিতা , সব হৃদয়েরি সবিতা ;
তুমিই যে জীবনের একমাত্র কবিতা।
বাবুল আচার্যী 14/01/2019