মাতৃগর্ভে থেকেই শুনতে পেতাম এক, দুই, তিন ,চার ,
কে যে বলছে আবোল তাবোল,শুনেছি আমি বহুবার |
বড় জটিল তথ্য সে ,
ছিল না কোন সাধ্য যে, .....বুঝবার |
তাই চুপটি মেরে গোলকুণ্ডে, ঘুমিয়ে যেতাম বারংবার ।
এতেই পেতাম শান্তি ।
মনে মনে ছিল ভ্রান্তি _
সংখ্যা তত্ত্ব আসলে কি ?
কেনো এদের প্রয়োজন ?
ব্রেইনে বসতে দিতে কেনো ই বা এত আয়োজন ?
উৎসুকে মাতৃগর্ভে ক মাস কেটে গেলো জানা নেই।
সুযোগ হলো পৃথিবীতে আসার,... আলো দেখার_
আমাকে নিয়ে সে কি তোলপাড় ।
ঘটা করে হলো অন্নপ্রাশন;
করল বাবা অনেক আয়োজন ।
আনন্দের মরসুমে তিনটি বছর এমনিতেই কেটে গেলো।
বাঁধ ভাঙা উচ্ছাস ধীরে ধীরে থেমে গেল ।
আমাকে দেখিয় "ছেলে হয়েছে,
বংশের বাতি দিবে "বলে,কেউ আর চিৎকার করেনা ।
চেঁচামেচি এখন থেমে গেছে!
সবাই বলে "সময় হলো হাতে খড়ি দেবার ।"
"অ আ ক খ , এক দুই তিন জেনে নেবার ।
অ আ প্রায় শিখে নিয়েছি অনেক কষ্ট করে ;
শুরু হলো এক দুই তিন শেখার পালা;
আমার হয়েছে জেনো ,গা- জ্বালা ।
কিছুতেই রপ্ত করতে পারছিনা ।
আমার ভাবনার অন্ত ছিলনা ।
এক কে দেখে ভাবতাম...
সে কেনো গলি মেটো পথ ধরে এসেছে;
দুই টা কেনো মোচড় খেয়ে_
আবার সিধে হাওয়ার চেষ্টা করছে ?
তিন টা কেনো স্বর্গে পা উঠাতে চাইছে ?
চারের মাথা কেনো সরু পেটটা গাম্বল ?
দেখে মনে হয় পেটে থাকে শুধু অম্বল;
পাঁচটা প্যাঁচার মতো কেনো করে থাকে?
জ্বলে যায় আমার পিত্ত সব ওকে দেখে| ।
অঙ্ক শিখে শুনেছি লোকেরা হয় জ্ঞানী !
একথা জানি,
আমি অঙ্ক কে ভয় করি_
আমি তা মানি;
আমায় বলো না তোমরা কিন্তু অজ্ঞানী ।
বাবুল আচার্যী 15/11/2019