তুমি অভিমানী, অভিমানে চলে যাও দূরে,
জল ভরা মেঘ পবনের প্রলুব্ধে যেন উড়ে।
এ কোন রঙে রাঙালে আজ তুমি নিজেকে ?
কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে ,তোমার চোখে মুখে ।
আহা ! তোমাকে দেখে মনে হয় রুদ্র প্রয়াগ;
মনে হয় বারবার দেখি ফিরে,মন যে বেবাগ।
আমি শুনি,বিহানের ভৈরবী রাগিণীর তান,
তোমার কর্ণকুহরে আসে,স্রোতের কলতান ।
আমার চোখে নীল জলরাশি কত কি বলে;
ব্যাথায় বিদীর্ণ সত্বেও কেন সব ঢেকে চলে !
আমি দেখি আলোর পেছনে পড়ে যে ছায়া;
চোখে পড়ে তার বিমর্ষ কাহিনী,করুণ মায়া।
যে রূপ ছেড়ে,সেজেছ অভিমানে অভিমানী ;
নীরবে শুনতে চাই,সে সব ব্যাথার প্রতিধ্বনি ।
যার কারণে উত্তেজনা ছড়াল শিরা-ধমনীতে;
জোয়ারের বেগ হবে যে বালিকে সদা সইতে ।
আমি সৈকতের প্রতিবেশী,তায় প্রতিবাদ নয়;
বোধিসত্ত্ব বলে,অভিমান ভাটায় অন্তর্হিত হয় ।
বাবুল আচার্যী 24/11/2019