ঐ মসনদে বসি
হাসিছো পুষ্পের হাসি।
লক্ষ বেকারের গলায় ঝুলিয়ে
অভিশাপের সহস্র ফাঁসি।
তবে মনে রাখিস হে চরম চাড়াল
আর কতকাল থাকবি আড়াল?
আয় বেড়িয়ে মসনদ ছাড়ি
লক্ষ বেকার ভাঙবে চোয়াল।
স্বাধীন স্বদেশে আমার ডুকেছে শত শকুন
শত সাধনার স্বপ্ন আজি কে করল হায় খুন?
তবে কি আমার স্বাধীন স্বদেশে নেই কোন স্বাধীকার?
রক্ত নদী ন'মাস তবে কি দিয়েছে আমার?
রক্ত চোষা হায়েনা রে তুই বায়না ধরে বারো মাস
কী দিয়েছিস ওদের যারা এনটিআরসিএ করেছে পাস?
টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে সনদ
দখল করে বেশ আছিস বাংলার ঐ মসনদ।
তবে শোনরে আশফাক
দেখিসনি বেকারদের রাগ।
তোর হায়েনার মত হিংস্রতা লয়ে বসে ঐ মসনদে
লক্ষ বেকারের জীবনটাকে রেখেছিস বিপদে।
বয়সের ব্যারিকেডে লক্ষ বেকার হয়ে আজ ভিখারি
বাংলার বুকে কেউ শোনেনা তাদের আহাজারি।
আসিছে শুভদিন তব শুধিতে হবে ঋণ
নইলে এমন লক্ষ বেকার আনিবে দূর্দিন।
জননী(শেখ হাসিনা) তোমারে বলি
হায়েনা (আশফাক) দিয়েছে বেকারের স্বপ্নকে বলি।
বিঞ্জপ্তি দিয়ে লুটেছে টাকা পেতেছে মহাফাঁদ
ওর কলিজা বিষাক্ত আজ উপড়ে ফেলুন বিষদাঁত।
ঐ শালা শকুন একটা,শয়তানেরই দালাল
আরাম নিয়ে হারাম খেয়ে হারামকে করে হালাল।
স্বাধীন স্বদেশে এত সূক্ষ্ম শয়তানি কেউ করেনি আগে
রাগে তাই ফোটেনা ফুল মনের কুসুম বাগে।
পটভূমি : কবিতাটিতে বেকারদের হাহাকারকে তুলে ধরা হয়েছে। যারা এনটিআরসিএ সনদ প্রাপ্ত অথচ তাদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে বেকাদের আগুনে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছে। আশফাক সাহেব এনটিআরসিএ এর সাবেক চেয়ারম্যান। তার ভুলের মাশুল দিতেছে লক্ষ বেকার।
সেই কথিত চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে আমার এ কবিতা।