ঐ এলরে ধুমকেতু আজ
সাজল গ্রহ দ্রোহের সাজ।
শুনবি কে আয় অগ্নিবাণী
কাঁপছে ভয়ে পাষাণ জানি।
জাগে অনশন বন্দী শিবির
ঘুচাবে আজি নিবিড় তিমির।
তর্জনী দেখে পাষাণ বুকে
ধরেছে আজ কাঁপন।
চারিদিকে ছড়ায় সে যে
স্বাধীন দেশের স্বপন।
আজি মহারণে মহারথী
নয়কো জানি একা।
ধুমকেতু আজ অগ্নি তুফান
স্বাধীন স্বপন রেখা।
রক্ত স্নানের বদলা নিতে
ধুমকেতু আজ ধরণীতে।
ঐ এলরে নতুন রুপে
পালাবি পাষাণ  চুপেচুপে।
দ্রোহের পথে সব মজেছে
রক্ত চোষা ভয় পেয়েছে।
চুপসে গিয়ে মরার আগে
রক্ত রাগে সবাই জাগে।
দ্রোহের অগ্নি তুফান দিকে দিকে
জ্বলছে আজি সবার বুকে।
আজি কে দেয় সাজা জাগল সাড়া
জাগ্রত আজ সকল ধরা।
নতুন করে বাঁচার তরে
মহারণের সুর ধরে।
উদ্যানে কোন উদ্দমে মিলেছে ঐ উত্তমে
তর্জনী তুলে দিন-রজনী, কাকে ডাকে হরদমে।
ঐ এলরে ধুমকেতু কাঁপছে ভয়ে ধরণীতল
আজি বুঝি মুছে দিবে সব শোষিতের নয়নজল।
কে আছে আর তাহার সমান দেখায় স্বাধীন স্বপ্ন
সেই স্বপ্ন স্বাধীন দেশের তরে আজি সবাই মগ্ন।
ক্রন্দনে আর রক্তদানে অসীম প্রেমের বন্ধনে
প্রাণে প্রানে জাগায় জোয়াড় স্বাধীনতার সন্ধানে।
আজি বজ্র বাজা নিবিড় নিশায় হাতে নিয়ে স্বপ্ন নিশান
রক্তে আগুন খুন চড়েছে সাবধান যত সীমার,পাষাণ।
খুলল কে রে নরক দুয়ার, জ্বালল দোযখ হাবিয়া
রুধির ঢলে নয়ন জলে কে যায় রে ঐ নাহিয়া।
খুলল যারা নরক দুয়ার তারা পাকি হায়না, শুয়ার
ধূলির ধরায় জাগল সাড়া থাকিস পাষাণ তুই  হুঁশিয়ার।
ঐ দূর্গম, গিরি, কান্তার মরু
সবখানে আজ সমর শুরু।
ধুমকেতু নয় ঘুম কাতুরে ঐ এল রে সমরে
আয় জিঞ্জির ছিড়ে পিঞ্জর ভেঙে শান্তির তরে এই আসরে।
ঐ ডেকে যায় ধুমকেতু থাকনা রে আজ ফুল বাসর
শোনরে নিঠুর বাজল আজি ধরার বুকে রণ কাঁসর।
এসেছে উত্তাল ভয়ংকর ঘন অন্ধকার
অপেক্ষায় প্রবল প্রভঞ্জন শুনি তার হুঁংকার।
ঐ সভ্যতার সংকটে অকপটে বল হে বীর
অবিধির হিংস্র আসন লাথি মেরে  করবে চৌচির।
ঐ চেতনের কেতন হাতে
কে ডেকে যায় ভাইরে।
তাই রে নাই রে নাইরে
নাইরে সময় নাইরে।
আয় রে সবে বাইরে
দেখ চেতনার কেতন উড়ে
থাকিসনে আর ঘরে।
কে ডেকে আয়রে।
বেখেয়ালে কাটাসনে কাল
জ্বলছে বেশ আলোর মশাল
শক্ত হাতে ধরিস নিশান
ওতপেতে রয় নিঠুর পাষাণ।
হানরে বুকে বিষের বিষাণ
তোলরে মুখে দ্রোহের তান।
আজ প্রাণ বিলিয়ে রাখব মান
আয় চেতনার গাইব গান।
কে দেয় দন্ড করব তার পলকে মুন্ডুপাত
আয়রে স্বর্গ হতে মর্ত্য কাঁপাই ভাঙি অবিধির হিংস্র হাত।
মহাকালের হিসসা নেব
বাজা রে আজ ডঙ্কা
চেতনার কেতনধারী
করবি সবে সমন জারি
ছেড়ে দে আজ সকল শঙ্কা।
হুক্কাহুয়া ডাকছে শিয়াল
সামনে দেবে বাঁধার দেয়াল
লুন্ঠণ হাতে লম্ফ মেরে
পাড় হয়ে যা সব দেয়াল,
ধরতে হবে ধূর্ত শিয়াল
চলরে চলরে চল,
বাদল দিনের মাদল বাজা
রাখিস মনে বল।



রচনাকালঃ ৮/৪/২১ ইং ঢাকা।