যে মা করালো তোরে বুকের দুগ্ধ পান
মাকে তুই মারলি পাষান কটু কথার বাণ।
তোর তিক্ত কথা তীরের মতন বিঁধেছে মায়ের বুকে
তুই আছিস দারুণ সুখে মা মরছে ধুঁকে ধুঁকে।
তোর বুকের পাঁজর পারা দিয়ে করব পাষাণ সোজা
মায়ের সেবা না করিলে কি হবে তোর নামায,রোজা?
দেখরে খুঁজে কোরআন, পুরাণ সবার উপরে মা
কেমনে মারিস ওরে পাষাণ মায়ের কলিজায় ঘা?
তুই আছিস মহা সুখে বিবি,বাচ্চা নিয়ে
মায়ের ঘরে বৃষ্টির পানি পড়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে।
যখন ছিলি ছোট্ট ছেলে
একটুখানি ক্ষুধা পেলে।
ডেকেছিলি মা মা বলে
জননী তোর এসেছিল সকল কাজ ফেলে।
শীত, গরমে নীদ করেছে হারাম
ওরে পাষাণ সারা রাত্রি দিয়েছে তোরে আরাম।
এক বছরেও মায়ের ঘরে পড়েনা তোর পা
কতদিন হয় মাকে তুই ডাকিসনা আর মা।
তোর পাতিলে জোটেনা পাষাণ মায়ের একটু আহার
একলা ঘরে জননী তোর থাকে অনাহার।
এখনও তোর ঘরে ফিরতে একটু দেরি হলে
তোর খবর লয়রে মায়ে নানান কথার ছলে।
এত কিছুর পরেও মায়ে দেয়না তোরে শাপ
বুঝলিনা হায় গোপনে গোপনে বাড়ছে কত পাপ।
রচনাকাল :২০ শ্রাবণ ১৪২৪ বঙাব্দ
টাগার পাড়,ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ।
দুপুর :১.০০ ঘটিকা।