হে জননী
রনি ই রানী
আর্য আর অনার্য কাল হতে
তোর আঁচল আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছি।
তোর এতো শ্যামল,কোমল আঁচল যেন
চৈত্রের দুপুরের ছায়া হয়ে আছে কাছাকাছি।
আমি অনন্ত তোর অঙ্গন জুড়ে মায়ার খেলা খেলি
তোর দেখানো পথে ধরে হাজার বছর পথ চলি।
আমি অনন্ত মহানভে তোর রূপ দেখে যাই
হে আমার বঙ্গ জননী তুই ছাড়া কিছু নাই।
তোর বুকে ঘুমিয়ে আছে সমস্ত সূর্য সেনা
তোর বুকের জমিন মাগো রক্ত দিয়ে কেনা।
আমন ধানের মাঠ পানে
বাউলের মধুর গানে,
তুই যে অনন্য নিদর্শন
তোরে মাগো করি দর্শন।
শত শত বীর পুত্রগণ তোর বুকে
রক্ত, সম্ভ্রম দিয়ে লিখে সুখে,দুখে
উর্বর মস্তিষ্কের ইতিহাস,
পলাশীর প্রান্তর দেখেছি
একাত্তরের শেষে তোর স্বাধীন বুক পেয়েছি।
হে জননী তুই ধরণীর বুকে সৌন্দর্যের রাণী
আজও গাহি মুখে মুখে তোর মধুর বাণী।
তোর এক ছেলে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছে
কাস্ত্রো যার নাম দিয়েছে হিমালয়,
আসলে তিনি হিমালয় থেকেও বিশাল হৃদয় তা জেনেছে জনেজনে বিশ্বময়।
আর সেই উত্তাল মার্চেই তাঁর জন্ম
তিনি হাজার বছরের মহাকাব্য বলব তা আজন্ম।
মহাবিশ্বের বুকে মহা সৌন্দর্য তর্জনী তোলা একটি বাঘের রক্তে আগুন জ্বলা গর্জন,
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
হে জননী বঙ্গ জননী আমার
তুমি যুগে যুগে চির অমর।
তাই তোমার বীর সেনানী যত হয়েছে চির দূর্বার।
রচনাকাল ঃ ২৮/০৩/২০২২ ইং