তুমি এসো, দেখে যাও হে পিতা
আমাদের স্বাধীনতার হিংস্রতা।
আমরা কথায় কথায় আগুন জ্বালি
আমরা নিজের বুকেই চালাই গুলি।
আবার ঐ তর্জনী তুলে কর মোদের হুঁশিয়ার
আমরা তোমার বাংলা মাকে করেছি ছারখার।
জীবন নিয়ে জীবনের সাথে
খেলছি আজব গেম।
তোমার সন্তান হলেও অন্তরে মোদের
নাহি কোন দেশ প্রেম।
আমরা তোমার নীতি হতে কবেই গিয়েছি সরে
তোমার মতো কেউ হবেনা এই বাংলার পরে।
দীর্ঘ রক্ত নদী ন'মাস, তোমার কারাবাস সম্ভ্রম, তিরিশ লক্ষ প্রাণ
আমরা সে সব ভুলেই গেছি, হয়েছি রক্ত চোষা বেইমান।
হে পিতা তুমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী
সারে জাহান ভুলতে পারে আমিতো ভুলিনি।
হে পিতা তোমার তর্জনীর দিকে চেয়ে আপনারে দিয়েছে যারা বিলিয়ে।
তাদের অনেকে পথের ভিখিরি পথেই করে বাস
তোমার স্বাধীনতা দিতে পারেনি হায় এতটুকু আবাস।
তোমার সোনার খনি লুণ্ঠন করে গড়েছি চোরের খনি
হে পিতা আমরা তোমার খুনি থেকে হয়েছি কালফনী।
হে পিতা আমরা তোমার সন্তান হয়ে স্বপ্ন করেছি চুর
তুমি ভাবতে পার ও পাড় হতে রোজ কিয়ামত নয়রে বেশি দুর।
হে পিতা আমার আকুতি শুনে তুমি কেমন করে ঘুমাও
তর্জনী তুলে ধরনী তলে আবার এসে রুখে দাঁড়াও।
তোমার রক্ত শুকায়নি পিতা এখনো অটুট তরতাজা
তোমার স্বপ্ন বুঝিনি মোরা অকৃতজ্ঞ রাজা,প্রজা।
কী বলেছিলে হায় সেইদিন ঐ রেসকোর্স ময়দানে
আমরা পাষাণ নিঠুর সীমার তোমার প্রাণ নিয়েছি প্রতিদানে।
ওরা ষোল কোটি প্রাণ একদিকে আর অন্য দিকে তুমি, আমি
আকুতি আবার তর্জনী তোল একাই রুখব সব আমি।
রচনাকাল ঃ ২১/০৪/২০২১ ইং ঢাকা।