তবুও একটি কর্মক্লান্ত দিন শেষে,
স্নেহব্যগ্র গৃহ কোণে দুটি চোখে,
অভিমানি রাত্রি যাপনের টিকেট কেটে চলি আজো....
সেঁজে অপেক্ষার ব্যাকুল বাউল।
ধিক ধিক নাড়ির স্পন্দনে,
নব স্বপ্নের সন্ধানে,
ব্যর্থ পঙ্গু জীবনের বাঁধ ভেঙে,
রঙিন আশার পথে হৃদয়কে নিয়ে রেঙে,
ধুম্র তপ্ত আঁধারের বুক চিরে,
পৌছাতে কোন এক সুধা সাগর তীরে।
আজ বুঝে গেছি বিধির লিখন,
জীবন জুড়িয়া শুধু ক্রন্দন,
পাবো না খুঁজে কোন রক্তিম চন্দন,
হবেনা কোন সুখ বন্ধন,
মেলবে না স্বপ্ন পাখিরা ডানা,
ছড়াবে না গন্ধ গোলাপ বকুল আছে মানা,
আমার মাঝের বিধিও অন্যমনা,
চারিদিকে যন্ত্রনার ফনা।
হঠাৎ কোথা হতে উড়ে এসে ঝড়ো বায়ু,
নিয়ে আমায় মরার ধরায় দিতে চাই ঠাঁই।
তাইতো মনের ইশারাই একা একা হেঁটে,
শান্ত হয়ে চলে যায় ঘুমের জগতে।
সারারাত বুঝে নাকি ভুলে,
চুপচাপ পড়ে থাকি আকাশের তলে।
জীবনের সমস্ত অতীত মেলে পাখা,
রাতের ধরনীতে স্বপ্নের সাথে যায় তাদের দেখা।
সবুজ ঘাসের মত থাকে আমার নিরবতা,
সে হেঁটে চলে আমার বুকের উপরে,
তীক্ষ্ণ নখের আচড়ে পাই ব্যাথা।
ধীরে ধীরে বাড়ে আলোর উজ্জলতা,
স্মরণে আসে প্রেম আশা চেতনার কথা।
আবার তাই জেগে উঠি,
কর্মের কলহে প্রেম আর স্নেহ থাকে নিরব।
তুমি সেই নিরবতা দেখো নি,....
দেখো নি অতীত স্মৃতির চেহারা কতটা ধুসর,
দেখোনি স্বপ্নের কাঁধে বাস্তবতার প্রভাত,
দেখো নি প্রেমের অন্তরালে বিরহের আঘাত।
আমি দেখেছি সব,
তাইতো এখনও কর্মক্লান্ত দিন শেষে,
স্নেহব্যগ্র দুটি চোখে,
রাত্রি যাপনের টিকেট কেটে চলি আজও...।