যখন ছিলাম ছোট,
তখন দেখেছি তারে।
এসেছিলো এক পাগল.
বস্তা কাঁধে করে।
দেখতে সে বেজায় কালো,
চুলগুলোও তার এলোমেলো,
পোশাকের কথা বলবো কি আর,
শরীরে তার সবই ধুলো।
মজার ব্যাপার সেটা হলো,
চোখ তার মায়াবী আলো,
মনটাও অনেক ভালো,
দেখিনি কভু তার মুখ কালো।
ছিলো না তার লজ্জা দ্বিধা,
শুধুই ছিলো পেটের ক্ষুধা,
খাওয়া কারো দেখলে পরে,
ক্ষুধার কথা মনে করে,
খেয়ে ফেলতো কেড়ে-কুড়ে।
এক জায়গায় থাকতো না সে,
নিজেকে স্বাধীন করে,
ইচ্ছে মনে বেড়াতো ঘুরে।
একদিন আমি ক্লান্তি ভারে,
দাঁড়ালাম এসে পুকুর পাড়ে।
দেখি পাগল হাঁটু জলে,
নিচের দিকে নজর করে,
বলছে সে জোরে জোরে,
থাকবো না আর ভূবন পরে,
চলে যাবো অনেক দুরে,
মেঘের ভেলায় ভর করে।
আজব এই কয়েদ-খানায়,
গেছে সব পাগলে ভরে,
থাকবো বল কেমন করে?
অযথা সব উড়িয়ে ধুলা,
দেয় শুধু গায়ে ভরে ।
কিছু তাদের বলতে গেলে,
উল্টা আমায় পাগল বলে,
হাসতে হাসতে যায় চলে ।
হঠাৎ পাগল চুল খুলে,
আমার দিকে মুখ তুলে,
কান্নার সুরে আমায় বলে,
গায়ের কথা দিলাম বাদ,
শুধু আমার এই চুলে,
কত ধুলা আছে দেখ,
যাবে কি কভু ধুলে?
আমি তো তাকে দেখে,
দাড়িয়ে নিরব চেয়ে থেকে।
আসলেই কি পাগল মোরা?
মনের কাছে প্রশ্ন করে,
পাই নে কিছুই উত্তরে ।
তাইতো চিন্তা থেকে এসে ফিরে,
পাগলের দিকে এগুলাম ধিরে।
পাগল আমার এগুনো দেখে,
তার সকল চিন্তা রেখে।
কোথায় যেন যাচ্ছে চলে,
মনের সুখে হেলে-দুলে,
সাজানো তার উদ্দেশ্য ভুলে।
আমিও নাছড় বান্দা,
হাঁটছি তার পিছু ধরে ।
এমনি করে কিছু পথ হাঁটার পরে,
হঠাৎ পাগল পিছু ফিরে,
বললো তোর মতলব কিরে?
আমি থেমে নিরব নিথর,
চারিদিকে পাগল পাগল,
ছেলে-মেয়েদের চিৎকার।
শুরু ঢিল ছুড়াছুড়ি,
পাগল বলেই যেন,
নিয়মের ফ্রেমে বাঁধা,
নিরবে এই আঘাত সইবার।