এসেছো কবি !
কি এনেছো বলো তো
চাঁদের দেশে ৷


কি দেবো বলো ?
এ দেহ ছাড়া আর
সবই গেছে ৷


হৃদয় ছিল
বুকে পৃথিবী ছিল
মুকুট ছিল ৷


সকল কিছু
চেতনা কেড়ে নিছে
অসহায়ত্বে ৷


অস্ত্র ছিল না
কলম ভেঙ্গে গেছে
জামাটা ছেড়া ৷


কি দেবো বলো !
কান্না নিয়ে মা বলে
ক্ষুধা লেগেছে ৷


পারিনি দিতে
ভাই-বোনকে স্নেহ  
ঐ রাজনকে ৷


দেখ, শরীর ?
বিদ্ধস্ত চেহারাটা
ক্ষত কতটা ৷


এ কত লজ্জা
কি-বা দেবো তোমাকে
শুধুই শূন্যে ৷

১০
যখন শুনি
রুটি খেতে পারেনি
এক বালিকা ৷

১১
হাতে শিকল
ভয়ানক প্রহারে
সাব্যস্ত চোরে ৷

১২
ভয়ার্ত চোখে
তাকিয়ে থাকে শুধু
কি যে নিরবে ৷

১৩
চোখের পানি
বলে কোথায় এলে
কোন পৃথিবী ৷

১৪
চোখ টা দেবো
তাও গেছে অন্ধত্ব
মানব কর্মে ৷

১৫
ও চাঁদ ভাই
এ পঙ্গু দেহ আছে
কষ্টকে নিয়ে ৷

১৬
কবি, থাম তো !
চাঁদ আলো দিয়েছে
ঐ পৃথিবীতে ৷

১৭
হঠাত চাঁদে
ঘূর্ণিঝড়ের শব্দ
কম্পন করে ৷

১৮
এ প্রতিদান !
চাঁদের চোখে পানি
এনেছে তারা ৷

১৯
বলবে, কবি--
ফিরে গিয়ে পাষাণে
নিরব চেপে ৷

২০
মানুষ হব !
চাঁদকে পেতে হলে
না হলে ছাড় ৷

২১
না হলে চাঁদ
উঠবে না কখনো
আকাশে আর ৷