"আজ ভরে গেছে পৃথিবীতে পাষাণের রাজ্য
আজ তাই কতো কবি লিখছে যে কতো কাব্য"
এই কবিতাটি অনেক কষ্ট নিয়ে লিখেছি । একদিকে মানুষে মানুষে শত্রুতাপোষণ, ভালবাসা মুছে ফেলা এবং আরেক দিকে সাম্য মুখে বলে লোক দেখানো কর্মকাণ্ড । এই সমস্ত বিষয়াদী দৃষ্টিগোচর হলে কোন মানুষ নিজেকে সুস্থ বলে দাবী করতে পারেনা । নিজ চোখে এ সমস্ত বিষয়াদী দেখে যারা মুখে লাগাম দেয়, তারা পশুর সমাজেও ঠাই পাওয়ার মত যোগ্যতা রাখেনা। পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষ নিজ ও অন্যের কল্যাণে বিভিন্ন সভ্যতা আনোয়ন করেছে । যুগের পর যুগ মানুষ যে ভিত্তি স্থাপন করেছে সুন্দর মনুষ্যত্ব নগরী পরিকল্পনার্থে, তাতে হিংস্রতা, হিংসা, অহংকার, রক্তপাত ইত্যাদিকে সহযোগিতা করা হয়নি ।
এখনকার আধুনিক যুগ বলে মানুষ যাকে আক্ষায়িত করে সেটি কী আদৌ আধুনিক হতে পেরেছে কিনা তা অবশ্যই সবার দৃষ্টগোচর হয়েছে । বিশ্বের প্রতিটি সাম্রাজ্যের পরতে পরতে উগ্রতা, পৈশাচিকতা, দানবতা ইত্যাদির আগ্রাসন লক্ষ্যগোচর হয় । তবে এ সমস্ত বিষয়াদীর একটি মানদণ্ড আছে । যেমন- পণ্য ক্রয় করার আগে বিক্রেতা পণ্যটির মূল্যের যথার্থতা পর্যবেক্ষণ করেন এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ঠিক ততটাই বিক্রেতা মাপ নির্ধারণ করেন ।
"যে জাতি জ্ঞানে বড় নয়, সে জাতি মনেও বড় নয়" ।
ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর এই উক্তি মানুষ মুখে স্বীকার করে নেয়, কিন্তু "জ্ঞান" নামে যে শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে যথার্থ রূপদান মানুষ আজও করতে পারেনি । কি সেই জ্ঞান ? কেনইবা তা থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি ? আমি যতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছি তাতে মনে হয় এখানে ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ- নৈতিকতাবোধ, চারিত্রিক গুণাগুণ, প্রেম-ভালবাসা ইত্যাদির প্রায়োগিক বিশ্লেষণ এই "জ্ঞান" শব্দে রেখেছেন । যখন এই সমস্ত বিষয়াদী কোন মানুষের ভিতরে ফুটে উঠে শুধুমাত্র তখনই তাকে প্রকৃত জ্ঞানী বলা যায় এবং এর সাথে সাথে মানুষের চলাফেরা মনুষ্যরূপী রূপায়নে অনেক মানুষের সংস্পর্ষ ব্যাপ্তি লাভ করায় তার ভিতরে উৎকর্ষ সাধন জাগ্রত হয় এবং মননশীলতার পথে সে গমন করে । কিন্তু আজ অযোগ্য মানুষের বাস এই পৃথিবীতে ! হত্যা, লুট, হিংসা-প্রতিহিংসা, ক্ষমতার লড়াই, দেশ প্রেম উধাও ইত্যাদির কারণে সভ্য যুগ সৃষ্টিকারী মানুষেরা তাদের বেড়াজালে বন্দী হয়ে আত্মঘাতী হামলার মতো সভ্যতাকে বিনষ্ট বিনষ্ট করার পায়তারী করছে । এই সমস্ত অসভ্য মানুষদেরকে আজ এইক্ষণে না রুখতে পারলে ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্ধকারছন্ন কোন শেষ স্তরের জাহান্নামে নিক্ষেপ হবে ।