ঠোঁটগুলো ময়না, শালিক কিংবা প্রেমিকের নয়--
যে পুরে দিলেই ভালবাসা যায় ধর্মের মোড়কে,
পেয়ে যায় শরিয়তি বেহেসত্ মনের কোরকে।

দেহটা গণিমতের মাল অথবা হুরের নয়,
ইচ্ছেমতো ব্যবহারে নেই অদৃশ্যের লাইসেন্স।
তবুও সেদিন কারা ঢুকিয়ে দেয় যৌনাঙ্গে স্কেল?
রক্তাক্ত নিথর দেহে চালায় ধর্ষণ? ভরে জেল্?
কারা কেটে নেয় স্তনাগ্র? এ কোন শান্তিপুরি সেন্স!

অথচ এর সবই হয়েছে পাক-নাপাকের নামে--
এই মাটিতেই; প্রথমেই মালাউন, শেষে সব--
স্বজাতে-বেজাতে, এবং এমনকি রাজাকার ধামে!

গ্রামের পর গ্রাম, শহরের পর শহর পুড়ে
শ্মশান; গলিত লাশ পড়ে থাকে নদীতে, পুকুরে,
রাস্তায়, অলিতে-গলিতে, ট্রেনের কামরায়, বাসে।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে চোখ, মুখ, হাত, পা কিংবা গা--
গুডস হিলে, জয়মল্ল পাড়ায় কিংবা মিরপুরে।

অনাহারে, অর্ধাহারে, সহায়-সম্বলহীন কোটি
জনতা-- আশ্রয় নেয় পাশের পাড়ায় দীর্ঘদিন।
পথে যেতে যেতে ঝরে পড়ে কতশত তাজা প্রাণ!
কে মনে রেখেছে সেদিনের স্মৃতি ঠিক অমলিন?

অথচ কে না জানে তারা ছিল কারা-- বিভৎসতায়,
শত শত মেধাবী প্রাণের করুণ নৃশংসতায়।
কারা ছিল সেদিন কারিগর, শালীনতা লুঠের?--
ঠোঁটগুলো সাচ্চা মুসলমানের!-- হিংস্র শকুনের।

তবু সব বিরুদ্ধবাদী বীজ আজও ছোবল মারে--
উর্দুতে; আরবিকরণে ব্যগ্র-- শাশ্বত সংস্কৃতি,
ব্যঙ্গ করে তেরোশত নদীর জল, মাটির কৃতী!

সত্তরের তিরিশ শতাংশ-- ফুলেফেঁপে মহীরুহ?
ইতিহাস ঘুরে যাবে উল্টো চাকায় ভর করেই?
হে নিবীর্য বীর আজিকার, ডুবে মর্ সাগরেই;--
এই অভিসম্পাত কবির নয়, দেয় লক্ষ রুহ;--
যারা দিয়েছিল প্রাণ, মান, ধান, যৌবন-জীবন।

©চৌধুরী বাবলা
সকাল ৮.৪১টা - দুপুর ১.৪৪টা
১৫ই ডিসেম্বর ২০২২||বৃহস্পতিবার
লাভলেইন||চট্টগ্রাম