প্রেমিক-প্রেমিকার কুহর শুনেছো কখনো?
শুনেছো ওমন হাসি?
যে হাসি ঠোঁট থেকে উৎসারিত হয়না!
অন্ধকার ছিঁড়ে চাঁদ উদয় হওয়ার রূপ দেখেছ কখনো?
মেখেছো কখনো ঐ রূপ গায়!
অথবা নদীর শরীর ছুঁয়ে যাওয়ার শব্দ শুনেছো? শুনোনি! তাহলে আমার কবিতা শোনো।

আমার কবিতা তোমাকে ভালোবাসতে বাধ্য করবে, তোমাকে করবে প্রেমিক, যতটায় হৃদয়ের জল খুঁজে পাও।
তুমি নিজেকে ভুলে যাবে বারবার।
ভুলে যাবে বৃষ্টি স্নানিত দুপুরের কথা যখন তিলোত্তমার ভেজা চুলে দেখেছিলে বৃষ্টির ফোটার পরিবর্তে অনাকাঙ্খিত সে হাত।
ভুলে যাবে ছায়া দীর্ঘ বিকালের কথা যখন প্রেয়সীর ছায়া দেখে নিজেকে ভুলেছো।

তুমি আমার কবিতা শোনো।
আমার কবিতা তোমাকে বৃষ্টি স্নানিত দুপুর এনে দিবে,
এনে দিবে সেই অনাকাঙ্খিত হাতের বদলে বৃষ্টির ফোটা ছুঁয়ে দেখার সাধ।

আমার কবিতা নির্জনতার প্রান্তরে অজ্ঞাতবাস সেই প্রেয়সী ভুলার বিক্ষত হৃদয়ের প্রলেপ হবে,
হবে তিলোত্তমার আবছা ভেজা চুল,
হবে চোখের পাশে চোখ,
যে চোখ তুমি দেখোনি।