অনেক বছর দাসত্বের জীবন-ভুলে গেছে প্রভু
সেই কবে শিকল পড়িয়েছে পায়, চোখ বাধা
হাতে ধরা ক্লান্তিহীন শ্রম।

জীবনের সীমারেখা ভুলে এক বর্ষায় মা গেছে মরে
বাবা গেছে অনন্তে আরো আগে
ছোট বোন ফাতিমার আবদার-দরজার পাশের টবে কোন ফুলের গাছ লাগাবে
কৃষ্ণচূড়া না' রজনীগন্ধা।
ফাতিমার ছিন্ন ভিন্ন শরীর সেজেছ আজ কৃষ্ণচূড়া
মমির ন্যায় ঠায় দাড়িয়ে পাথরের চোখ নিয়ে নিষ্পলক তাকিয়ে আছি ওর কন্ঠ জুড়ে, যেথা হতে ভেসে আসে সমস্ত আদুরে আবদার আর খুব ভোরে ঘুম ভাঙায় যে সুর,
আলাম তারা কাইফা ফাআলা রব্বুকা বিআস্বহা-বিল ফিল।
আজ অনুমতি ভিক্ষা নয়- মুক্তির দিন।
আজ আর ত্যাগ নয়-গ্রহনের দিন।
আজ আমি চেঙ্গিস আর আমার
স্ত্রী বোর্তের পেট ধারন করেছে শত্রুর
অবৈধ সন্তান-আমি তাকে আপন করেছি
রক্ত জমাট চোখে শহর গ্রাম ভস্ম
করেছি-নিয়েছি তার ছাই মুঠো ভরে
বোর্তে চোখে কাজল পড়বে বলে।
আহত দিন মাস বছর পেরিয়ে
মুক্তির মুখোমুখি আজ
সমুদ্র তার স্তব্ধতা ভেঙে
পাহাড় হাটুভেঙে নতজানু হয়ে
হৃদয় নিংড়ে বলিল,
আবার কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে দেখো
রজনীগন্ধায় ভরে গেছে উঠোন।