সেদিন বিকেলে দেখা হইয়াছিল সজল দিঘীর পাশে,
বহুবার যাহাকে স্বপ্নে দেখিয়াছি এই হৃদয়ের ক্যানভাসে।
প্রথম দৃষ্টিতে কাঁদিয়া ফেলিল হরিনি দুইটি আঁখি,
এত বড় সুখ, এতটা খুঁশি! কোথায় লুকাইয়া রাখি?
সারাটা জীবন কল্পনাতে শুধুই ভাবিয়াছি যাহাকে,
ভাবিনি কখনও দেখিতে পাইব স্বপ্নের মেয়েটাকে।
গায়ের রংটি কাঁচা হলুদ যেন গোলাপের কলি,
সুরভীতে মোরে মুগ্ধ করিয়াছে প্রেমের অনলে জ্বলি।
ভেঁজা ভেঁজা ঠোঁটে শুধুই তাহার হৃদয় জুড়া হাসি,
ডাকাতিয়া চোখে রুপম চাহনী বড় যে সর্বনাশী।
মেহেদী রাঙ্গা হাত দুইটি তাহার প্রেমের পরশে ঘেরা,
সুখের স্পন্দন মাখিয়া আছে তাহাতে আমি যে আত্মহারা।
কেশগুলো বেশ এলোমেলো উড়িতেছে দক্ষিণা হাওয়ায়,
ধন্য হইবে সে হয়ত কাহারো একটু প্রেমের ছোঁয়ায়।
মনটা তাহার শিশির সিক্ত শুভ্র হাস্নাহেনা,
অফুরন্ত যাহাতে ভালবাসা রহিয়াছে নয়তো কাহারো কেনা।
সোনা ঝরা স্নিগ্ধ আকাশে সে বুঝি চাঁদের আলো,
কৃষ্ণ রাতের যতটা আঁধার সবি তো হারাইয়া গেল।
গড়িবনা কোন তাজমহল আমি সম্রাট শাহ্জাহানের মত করিয়া,
লিখিয়া রাখিব স্মৃতির পাতায় সারাটা জীবন ধরিয়া।