বলতে পারো প্রেম-মুদ্রার অপর পিঠে থাকে কী? ঘৃণা?
হ্যাঁ, প্রতিটি বিশুদ্ধ প্রেমেরই অপর পিঠে গুপ্তবেশে প্রচ্ছন্ন থাকে অবিমিশ্র ঘৃণা।
প্রেম আর ঘৃণা পরস্পর হাত ধরাধরি করে চলে।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না?
কারও প্রতি একটু একটু করে জমানো প্রেম নিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরেই দেখো না মানুষটির প্রতি জন্ম নেয় কতটা ক্ষোভ আর ঘৃণা।
যে প্রেম যত গভীর, সে প্রেমের অপর পিঠে ঘৃণাগুলোও ঠিক ততটাই থাকে গভীর।
প্রত্যাখ্যানের পর যদি ঘৃণা জন্ম না নেয় তাহলে জেনে রেখো সেটা কখনো প্রেম ছিল না, ছিল ভালোবাসা বা মায়া।
যে মানুষটি একদিন তোমার সব প্রেমকে তুচ্ছজ্ঞান করে তোমাকে এক আকাশসমান দুঃখে ভাসিয়ে চলে গেল অন্য এক মানুষের হাত ধরে জেনে রেখো এখন তোমার অন্তরে সেই মানুষটির প্রতিই আছে এক সমুদ্রসমান ঘৃণা।
সব ভালোবাসাগুলো রূপ পালটে হয়ে গেছে ঘৃণা আর প্রতিহিংসা।
প্রেম রুপালি আগুনের মতো; অতিমাত্রায় প্রখর, দীপ্তিময়, অবিশ্বাস্য শক্তিধর আর প্রতপ্ত।
ভালোবাসা বা মায়া স্বচ্ছ জলের মতো; রঙহীন, শীতল, প্রশান্তিময়, অবিরল, শান্ত।
প্রেম হচ্ছে ওই নীলাভ আকাশেরর শুভ্র মেঘগুচ্ছের মতো সুন্দর সুস্নিগ্ধ, কিন্তু জেনে রেখো মেঘেরও ক্ষোভ আছে; আর যখন অতিমাত্রায় ক্ষোভ জমে তখন শুভ্র মেঘদল প্রবল ভারী হয়ে শুধু বৃষ্টির মতো কান্নাই ঝরায় না, সৃষ্টি করে অবিশ্বাস্য শক্তিধর বজ্রপাতও।