অপেক্ষাকে আমি আজও ছাড়তে পারিনি।
হ্যাঁ, অপেক্ষার কথাই বলছি।
ভালোবাসার রক্তিম ধারালো স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় এ হৃদয় থেকে এক এক করে ছেড়ে গেছে সব; লোভ, হিংসা, ক্রোধ, অহংকার, স্বার্থপরতা সবকিছু।
কিন্তু অপেক্ষা?
অপেক্ষা আমাকে আজও ছেড়ে যেতে পারেনি।
আমি ভালোবাসার জন্য সবকিছু ছেড়েছি, শুধু অপেক্ষা ছাড়া।
অপেক্ষাকে আমি আজও হৃদয়ের গহিনতম অংশে অবরুদ্ধ করে বেঁচে আছি।
অনেকেই বলে, অপেক্ষা হচ্ছে শুদ্ধতম ভালোবাসার প্রকাশ।
ভালোবাসতে সবাই পারে, কিন্তু সবাই প্রিয়তমার জন্য অপেক্ষা করতে পারে না।
আসলেই কি তাই?
জানি না তো।
হবে হয়তো।
তবে অপেক্ষার কাছে আমি অনেক ঋণী।
প্রিয়তমার জন্য অপেক্ষা আমাকে পাখির মতো সহজ হতে শিখিয়েছে;
শিশুর মতো অনাবিল হতে শিখিয়েছে;
আকাশের মতো বিশাল হতে শিখিয়েছে;
ফুলের মতো স্নিগ্ধ, সুন্দর হতে শিখিয়েছে।
অপেক্ষা আমাকে সাগরের নীল জলরাশির মতো গভীর হতে শিখিয়েছে;
প্রকৃতির মতো স্বচ্ছ হতে শিখিয়েছে।
সোনালি সন্ধ্যার মায়াবী মৌনতার মতো নিবিড় হতে শিখিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা আমাকে কবিতার মায়াবী অনিন্দ্যভুবনের কাছে নিয়ে গেছে।
হৃদয়ের মধ্যে প্রতিমুহূর্তে অপেক্ষাকে পুষে রাখা কী কঠিন!
অথচ আমি সেই কাজটিই করে যাচ্ছি প্রতিমুহূর্তে কী নিদারুণ আনন্দের সাথে।
আহ্, অপেক্ষা! তুমি কত বেদনার্দ্র সুন্দর!