আমি মৃত্যুর শেষপ্রান্ত হতে এসেছি
যেখানে তারা ক্লান্ত ; ক্ষণ আনন্দের খুঁজে অবিশ্রান্ত
যেখানে তারা খুঁজে ফিরেছে পাহাড়ঘেরা পর্বতমালা
দেখে চলেছিল ভাসমান মেঘের স্তুপ
বিস্তৃত অনন্তের কোনো যাত্রাপথের মেঘ সারথি
যেখানে তারা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তুলেছিল নিজ ছবি
আনন্দের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠা কিছু ফুলের পরী
এক,দুই,তিন করে তুলে ফেলা সেলফি
আর ফটোগ্রাফারের মতো বন্ধুদের ছবি তোলার নেশা
কোনো কিছুই যেন শেষ হয় নি;
সুস্থ আর অসুস্থ হয়ে উঠার প্রতিযোগিতা
তীব্র রোষ সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবারে
সবকিছু মিটিয়ে গেছে ফিরে আসা
রাতের খিচুড়ি আর মাংসে তে;
চান্দের গাড়ি নিয়ে দলবেঁধে চলা হাসি উল্লাসে
তামিমের দৃঢ়চেতা রোমান্টিক গানের সুরে
হৃদয় ও সোলাইমানের দুষ্টুমির বার্তালাপে
নূরের স্লোগানে চিৎকার করে উঠা আমরা সবাই
কেউ যেন আহত নয়; ক্লান্ত নয় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে বসে
নীলগিরি হতে নিলাচল সাময়িক চম্বুক পাহাড়
প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যে প্লাবিত হয়েছে সবার হৃদয়।
আনোয়ারুল স্যারের সুমিষ্ট হৃদ্যতার বাণী
ইয়াদ ও মীমের ব্যস্ততম আনন্দ প্রহরে
বাসের আধার আলোতে গেয়ে চলা গানের কলি তে
ছোটবড় কেউ যেন আনন্দের স্রোত থেকে বাদ হয় নি;
স্লোগানে কাঁপিয়ে তোলা নীলাচলের সিঁড়িটা
ওয়াশরুমে নিজেকে সাঁজিয়ে তোলার সুন্দরি প্রতিযোগিতা
মৃত্যুর শেষপ্রান্তে বসে থাকা নিজের ক্লান্ত শরীর
মোতিয়া, আফসানা,ইভা, নিলুফার মতো উচ্ছ্বসিত
কিছু ফুলের পরীরা মাতিয়ে তুলেছিল নীলাচল
হাসি উল্লাসে ক্লান্ত শরীরের অবসাদ কাটিয়েছে
বাসের ভিতরে থাকা নির্জীব আসনগুলো।
ভোরের আলো দেখা দিতেই পৌঁছেছে অনেকে বাড়ি
কেউ গেছে তার হোস্টেল ;কেউ বা আত্মীয়ের বাড়ি
এ যেন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত হতে ফিরে আসার অভিযাত্রা
আনন্দ উল্লাসে নীলগিরি থেকে নীলাচলের ভ্রমণামা।