এই কবিতা তোমাদের সবার জন্য,
যাদের অনুরাগী ছিলাম কিংবা এখনও আছি
পৃথিবীর কোনো গুহাবাসী হয়ে লুক্কায়িত
গল্পের সভা হতে অনেক দূরে বহুদূরে
নক্ষত্রের পতনে জ্বলে উঠা আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো
আমি তুলে ধরবো কবিতার পঙক্তির পেয়ালা।
যত বেশি দিন যায় ততই বিস্মিত হই
বয়সের অনুপাতে দায়িত্বের কড়া পড়ে
কেমনে দাঁড়িয়ে আছি নিঃশব্দে হাসিমুখে।
কেন আমি গুঁজে দিচ্ছি না মৃত্যুর রশ্মি
আমার গল্পে কবিতার স্তবকের শেষে?
আজ হয়তো দৈবের বশীভূত হয়ে
কবিতার পঙক্তি নিয়ে প্রকাশিত হলাম।
অনুরাগী প্রেমিরা যারা রয়েছে আমার
অধ্যয়নের অন্তিমকালে সাধনার চূড়ায়
হয়তো জানে তারা; কতটা চিন্তন ব্যস্ততম এই পৃথিবী।
মস্তিকের মিলনায়তনে জড়ো কতো স্মৃতি
আমার অনুরাগীদের অন্তহীন পথচলা
এক হতে অপরে ঢেলে দাও বিজয়ী উল্লাস।
বিগত দুঃখ কষ্টের যতনায় জীবনের সন্ধিক্ষণে
মনের প্রতি কোণে গ্রহণ করো আমার উচ্ছ্বাস।
আমারই নাম যেন ভুলে না যায় কেউ
অনুরাগীদের প্রতিক্ষণে কবিতার পঙক্তি হয়ে
আমারই নাম বাঁশির সুরে বাজিও মনের কোণে।
আজ এই রাত, এই সময়, এই মুহূর্ত তোমাদেরই
হে অনুরাগীরা, যেমন ভালোবাসিয়াছো
আমার গল্প কবিতাগুলো
তেমনি ভালোবাসিও এই আমাকেও।
দায়িত্বের কড়া পড়ে অধ্যয়নের সাধনার চূড়াতে
যেই আমি বসে আছি ধ্যানমগ্ন হয়ে
তোমাদের ভুলি নি কভু, হৃদয়ে রেখেছি যতনে
আমাকে শোন, হাতে নিয়ে করুণ বাঁশি
আজ এই রাত, এই সময়, এই মুহূর্ত তোমাদেরই
বাজাবো বাঁশি আমার অনুরাগীদের প্রতি।