এই অভিসম্পাত আমার উপর বর্তায়
যেমন বর্তায় তার ভালোবাসার আকুল আবেদন
তার নিবেদিত প্রেমের পুষ্পময় বাগিচা।
আমি তুলে নিয়েছিলাম বাগিচার কিছু ফুল
যে ফুলের সুঘ্রাণ আমাকে বিহ্বল করে তুলেছিল
বিহ্বল করেছিল আমার হৃদয়ের জানালা খুলে দিতে...
কিন্তু তার হৃদয় পুষ্পে যে দাগ আমি একেঁছি
তার বাগিচায় যে অশ্রুজলের ঝর্ণা করেছি দান
তার জন্য আমার উপর অভিসম্পাত আসুক
অভিসম্পাত আসুক আমার কবিতার স্তবকে।

যত বেশি দিন যায় ততটাই বিস্মিত হই...
কেন আমি গুঁজে দিচ্ছি না হৃদয়ে কড়াল আঘাত
আমার কবিতার স্তবকের শেষে?
আজ হয়তো বা নিতান্ত দৈবক্রমে,
আমি উপহার দিচ্ছি এই কবিতাখানি।
স্মৃতি! মস্তিষ্কের মিলনায়তনে জড়ো হওয়া
একটু হাতের স্পর্শের আকুল আবেদন
চোখ থেকে চোখে বিস্মৃত ভাষার প্রকাশ
শরীর থেকে শরীরে ঢেলে দেওয়া উচ্ছ্বাস
ভর করে একান্তই আমার শিরদাঁড়ায়।
আমাকে শোন এবং অভিসম্পাত জানাও
অভিসম্পাত জানাও শতাব্দীর নিয়মধারাকে
অভিসম্পাত জানাও নিয়তির অনুকম্পাকে
অভিসম্পাত জানাও সম্পর্কের বন্ধনকে।

দীর্ঘ প্রসারিত পদবিক্ষেপে আমি
চূর্ণ করি ভবিতব্যের পথদ্রষ্টা।
অভিশপ্তের জানলা ভেদ করে যখন তাকায়
অভিশপ্ত নারী, স্বর্গের কোন কামার
গড়েছে তোমাকে তার নিজস্ব খেয়ালে?
উল্লাস আর ঝড়ের উৎসবমুখর
শোভাযাত্রা বেরিয়েছি পৃথিবীর পথে
তারকাময় রাত যেন আধার ঘনভূত
চিন্তাগুলো অসুস্থ আর শরীর বিধ্বস্ত
যেখান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ধুমকেতু
আমারই পেয়ালার উদর হতে।

এই অভিসম্পাত আমার উপর বর্তায়
আমার উপর বর্তায় নিঃস্পৃহ যাতনা
দুঃখ বেদনার কর্কশ পেয়ালার শরবতখানি।
যা আমার অগোচরে তীব্রতর
বিছানার চাদর আঁকড়ে ধরে...
কল্পনার আমি ওষ্ঠদ্বয়ে চুম্বন
স্মৃতিভ্রংশ যেন সাপ লেপ্টে থাকা
অভিসম্পাতের পেয়ালা কে করেছে পান?
অভিসম্পাত করো, যেমনটা তুমি দেখো...
কবিতার স্তবকে প্রতিটি লাইনের পর লাইন
আমাকে আটকে দেয়, তোমার অভিসম্পাত!!!