মানব সন্তানদের অবশ্যই ভয় করে চলতে হয়;
ভয় করে চলতে হয় দেবতাদের শাশ্বত আইনকানুন।
তারা যা ইচ্ছে অনুশাসন তৈরি করে
তৈরি করে দাসত্বের শৃঙ্খল বেঁড়ি।
তারা মানবদের দিয়েছে উচ্চতম মর্যাদা
দিয়েছে উচ্চতর শিখরে ভোজসভার আয়োজন।
মানবরা যেন ভয়ে ভয়ে চলে ভালো ও মন্দের বিচারে,
তারা পাপ ও পুণ্যের মাপকাঠিতে আত্মা দিয়েছে বিকিয়ে;
তারা সীমাহীন শূন্যতা ছুঁড়ে দিয়েছে মানবদের মাঝে
মানবদের মাঝে পাহাড় আর পর্বত হয়েছে অতিসুন্দর।
মানুষেরা তলিয়ে আছে অতলগহ্বর অন্ধকারে,
যেখানে শূন্যতা এসে জড়ো হয়
আর বিশ্বাস হয় অন্ধকারে ঈশ্বর খোঁজার;
তারা প্রদীপ্ত আলোর রশ্মি ছুঁড়ে দিয়ে
ঢেকে দিয়েছে মেঘমালার উপারে সূর্যকে;
দেবতারা মানবের যজ্ঞ হতে তুলে নিয়েছে চিন্তাবোধ
তারা তুলে নিচ্ছে বিবেক আর ভিতরে জেগে উঠা প্রশ্নগুলি;
দেবতার পূজ্যরা এবং শক্তি ক্ষমতা বহনকারী মানবেরা,
অনন্তকাল ধরে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভোজসভা।
এইসব দেবতাদের ভালোবাসা ভোজনালয়ে
তাদের ভালোবাসা নৃত্য সংগীত আর যজ্ঞের বিহ্বলে;
তারা তাদের বংশধর চিনে না; যখন বিবেক প্রশ্ন করে উঠে
দেবতারা ভালোবাসতে জানে না,
তারা নিয়তি লিখে; আর এসব গল্প বলে মানবের কর্ণকুহরে
নিয়তির ধ্বনি প্রতিধ্বনি গেয়ে চলেছে আবহমানকাল।
তারা মানবের ইচ্ছে ও স্বাধিনতাকে নিয়েছে কেড়ে;
তারা লুপ করেছে তাদের বিবেক ও বুদ্ধিকে
শুষে নিয়েছে মনুষ্যেত্বের আমরণ ইচ্ছেকে।
এতো দেবতার জয়গান;
জয়গাঁথা দেবত্বের দাসত্বে বন্ধি মানবের।