দুঃখের ভারে প্রেম আজ নিস্তব্ধ নির্জীব
স্বজন হারানো নিঃস্ব সবে প্রাণহীন জীব।
স্রোতের জলে,বন্যার বাণে গেছে সব চলে
আহা! কি দুঃখ সবে ভাঙে প্রাচীন প্রথার অচলে।
দুঃখ জড়ানো সব গানে আজ দুঃখ ব্যাথার গান
হাসান-হুসেন ঈসা-মুহাম্মদ বা বুদ্ধ-কৃষ্ণের মান।
সব কিছু বেঁচে খেয়ে উগলে দিল হলহলা বিষ
চপ্পল নীচে গুড়ি করে নেব রাজকীয় উষ্ণীষ।
থুথু ফেলি সব অলস বৃদ্ধ রাজতন্ত্রের মুখে
থুথু দেই আমি পরিবারতন্ত্রের শাসকের চোখে মুখে
সুখে আছে যারা দুঃখ জনতার ভিড়ে
রাবনের চিতামধ্যে পোড়াবো ঐসব বিষ্ণুকে
ঝুলিয়ে দিব ঐসব যিশুখ্রিস্ট ক্রুশের ভারে
একজোটে যারা টিকে আছো ধর্মতন্ত্র নিয়ে বুকে।
মুহাম্মদ-যিশু বা কৃষ্ণের বিশ্রাম ছিল না মুটে
বিশ্রাম খুঁজে যারা, প্রজা মরণে তারা
সুখে আহ্লাদী হয়ে উঠে।
ক্রুশে ঝোলাও তাদের, চাবুক মারো অস্ত্রাঘাতে
বক্ষ গেলে দাও বর্শা মাখিয়ে উষ্ণ তনূনপাতে।
ভালোবাসা-প্রেম-বিশ্রাম সব নরম শব্দের উত্তাপে
ক্লান্তরা সব মরুক,
প্রজারা বাঁচুক আল্লাহর অসীম কৃপাতে।
প্রেম বিসংবাদের নিকুচি আমার
অশ্রু ভেজা গালে আবেগের মোহময় আবেদনে
ক্ষ্যাপা মিছিলের হুঙ্কারে আবেগ এর হোক অবসান।
চপল আঁখিতে,গ্রথিত বেনীতে, হাতে চুম্বন নয়
এবার আঘাত! নিষ্ঠুর দংশন!
প্রেমকে পোড়াবো, আবেগে চোবাবো
ধমনীতে আমি সূঁচ গেড়ে ঢেলে মেশাবো রক্তে বিপ্লব
চোখের বদলে চোখ নিতে হবে তুলে!
তুলে নেব চোখ, ভেঙে ফেলবো উদ্ধত কালোহাত
অন্ধ তোদের আর নেই তো সময়
হিংস্র পশু কালো মুখোশধারী আর মিছে কেন সময় নষ্ট
বিপ্লব কভু ঐ চোখে আর দেবে নাতো ধরা।
বিপ্লবের সুরে আমি সর্বত্র বিপ্লব ঘেরা
প্রেমের শশ্মানে বিপ্লব আসিবে
বিপ্লব আজিকে সবার রক্তে রন্ধ্রে গেঁড়া।