আমি ক্লান্ত,কিছুটা বিষণ্ণ অবসাদে আচ্ছন্ন
আমি জন্মের আগে থেকেই ক্লান্ত।
বিনিদ্র দু'চোখের অশ্রু ঝরিয়ে এসেছি পৃথিবীতে
এক নারীর উদর হতে আমি ভূমিষ্ঠ
ক্লান্তির রেখা, উষ্ম আদরমাখা হাতের স্পর্শ
আমার দু'চোখে উজ্জ্বলিত আলোর কান্নার স্বর
থেমে ছিল সেই মুহূর্ত ; সেই ছিল এক নারী।
আমি আজও ক্লান্ত, কিছুটা বিষন্ন অবসাদে আচ্ছন্ন
বৃষ্টির মতো করে ঝরে পড়ে যন্ত্রণার অশ্রুবিন্দু
কাদা হয়ে শরীরে প্রলেপ লাগাই  বিরহ
জানি আমি, এও এক নারী! বেদনার্ত নারী!
যে কাঁদে নিরবে, দু'চোখে তার অশ্রু ঝরে
স্বপ্ন বাঁধে মনের কোণে, স্বাদ যেন তার শরীর জুঁড়ে
কি বিষাদ? কে বিষণ্ণ? সব যেন মুছে তার কারণেই।
আমি তখন বসবাস করি সময়ের বাহিরে
বহতা সময়ের গভীরে আমার অস্তিত্ব।
তোমার নগ্ন পা যখন পদদলিত করে সবুজ ঘাস
বাতাসের তীব্র বেগ যখন উড়াই তোমার চুল
কেশরী রূপে সাঁজো এক ভিন্ন নারী।
আমি তখনও ক্লান্ত, বিষন্ন আর অবসাদে আচ্ছন্ন থাকি
এ যে পরম ক্লান্তি, বিষন্ন অবসাদে তোমায় দেখিবার লয়
জানি না তুমি কেমন ভাবো? কতটা নিষ্ঠুর আমি
এতো নারীর প্রবেশ হলো ভুলি নি কেন কারও কবে!
সত্যি বলতে যে এই হৃদয় মাঝে রাণী তারাই সাঁজে
কবিতার স্বরে যন্ত্রণার ধ্বনি আমার করুণ রোধে
ভুলে গেলে সব থাকে কি অতীত?
ভালোবাসি বলে জাগাইয়াছে প্রেম!
আমি ক্লান্ত, কিছুটা বিষণ্ণ আর অবসাদে আচ্ছন্ন।
তবুও এক নারী দেখে স্বপ্ন
বিষাদে বাঁধে ঘর, দেখে বিরহ আর বিরহ
কে বাঁধে তারে? কোন ওপারে ছিল কে?
ক্লান্ত হয়ে মৃত্যুর ইচ্ছে করে মন খারাপের দিনে।