আমি নব্যযুগে শিশুর চেতনা নিয়ে জন্ম
আমি জন্ম নিয়েছি ধর্ম প্রলোভনের রাজনীতির পটভূমিতে
আমাকে গিলানো হয়েছে লোভ, হিংসা
আর প্রতিহিংসার প্রজ্বলিত আলো।
আমাকে অসত্যের  সত্যরূপে জড়িয়ে
মিথ্যার চাদর চড়িয়ে প্রকাশিত করিয়েছে...
আমার উৎকণ্ঠা জন্ম নিয়েছে নব্যযুগের পিতা হতে
যে পিতা লালিত করেছে কূটকৌশলের নীতিবাক্য।
যে মাতা জন্ম দিয়েছে নব্যযুগের স্বাধিকারবোধকে
যে স্বাধিকারবোধ আমার অবক্ষয়তা দেখিয়েছে।
দেবত্বের অহমবোধে যে নারী মুক্তিকামী
যে পুরুষ বিনয়ী আর নমনীয়তার মূর্তিমান
তারা ভীরুতা আর দেবত্বের নিয়তিবাদে বন্ধি।
তাদের কোনো ইচ্ছে ও স্বাধীনতার বিকাশ নেই
তারা ধর্মের দোহাই আর ভাগ্যের পরিহাসের ক্রীড়ানড়ক...
তারাই ধর্ষক,সন্ত্রাসী কামানলের দীপ্ত আলো
আমার যৌবন তাড়না বলছে অমোঘ সত্য প্রকাশ করি
যে সত্য পুরুষ ও নারীর অভেদ; ভালো ও মন্দের উত্তরণ
আমি অবক্ষয়তার বৈপরীত্য আর বিশ্বাসের উল্টো পথে হাঁটি
যেখানে অবিশ্বাসের দানা নেই, সত্যের সংঘাত রয়েছে
যেখানে প্রতিষ্ঠিত অসত্যের সত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে
যেখানে ভালো ও মন্দের মাপকাঠি চূর্ণ করা হয়
যেখানে উত্তরণ হয় নব্য উৎকর্ষতার
যেখানে পাখিদের উড়ণ পৌঁছতে পারে না
আমি সেই অবস্থানভেদে নির্মাণ করেছি বসতি
যেখানের হিমশীতল বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে পারে না কেউ
আমি এতটা উর্ধ্বের সত্য প্রকাশ করছি যা সবার নই
যা সবাই আমার কবিতার অর্থ বোধগত হবে না...
যারা সেখানে পৌঁছায় আমার সত্যকে দেখে
বুঝতে পারে আমার অমোঘ সত্যের উল্টো পথ কি!
তারা সেখানে আমার সাথে নিঃশ্বাস গ্রহণ করে
তীব্র হিমশীতল বায়ু যা সাধারণকে বরফে পরিণত করে।
আমার যৌবন তাড়না উত্তরণ ঘটিয়েছে
মন ও শরীরের যাবতীয় ইচ্ছে ও স্বাধিনতার
সুখ-অসুখের তীব্র যাতনার বহ্নিশিখার অগ্নিদাহে...
আমি প্রকাশ করি ভালোত্বের উপর বিচার না করা
ভালোত্বের দাবিদার মন্দের দোষ খুঁজে
তারা নিম্নস্তরের মানুষ যারা নিয়তির উপরে সব ছেড়ে দেই
আমি বিশ্বাস করি না এমন ভালোত্ব কে
আমি উত্তরণ ঘটিয়েছি ভালো ও মন্দের
এখানে ভীরু কাপুরুষ বা মুক্তিকামী নারী নেই
এখানে ধর্ষক, সন্ত্রাসের অবস্থান নেই
এখানে গভীর সমুদ্র হতে উঠে আসা বৃক্ষের ফল
তার গভীরতা আর উচ্চতার শিখরে বসা আমি
এবং এতে ভেসে যাওয়া নয় নিজ ইচ্ছের ধাবমান
নারী ও পুরুষের হিমশীতল নব্য বসতির আহ্বান।