এই ধারা আর এই অনুভূতির মৃত্যু নেই
অবকাশকেন্দ্র মুখ লুকিয়েছে পাতালে
হাসির ছলে মত্ত হয়ে থাকা নর্তকীরা
বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে থাকা দুর্ভিক্ষরা
রাষ্ট্র আর রাজনীতির বিধিবদ্ধ বিধিবাদী
লুণ্ঠনে চুষে খেয়া ফেলা রাজকোষ
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রক্তমাখা কঙ্কালসার
এই নিস্তরঙ্গ, নিস্তব্ধ হয়ে থাকা জাতি
চিৎকার নেই, মাংস খুলে পড়ছে শরীর হতে
খেয়ে নিচ্ছে গোগ্রাসে রাজন্যক, রাজা-রা
হায়! হায়! নেকড়ে শাবক নাকি বিলে বিড়ালের গুচ্ছজাতি
কিসে করে তাদের আঘাত!
কিসে দেই তারা চিৎকার!
এই ধারা আর এই অনুভূতির মৃত্যু নেই
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে দাসত্বের বেঁড়ি আঁকড়ে
কেউ হয়তো আসবে, শিকল বেঁড়ি ছিন্ন করবে
অনাদর আর অসহায়ত্বের চিৎকার দিয়ে করে ঈশ্বর প্রার্থনা
সক্ষমতার দেয়াল না দেখে অক্ষমতাকে গ্রহণ করে
ঈশ্বর স্তুতির এমন আহ্বান লজ্জিত তাহাকে
মরে যাক সে, তারা ও তাদের সহোদর জাতি গুচ্ছ সবে
বাঁচুক সে, যে লড়াইয়ে মৃত্যুকে করেছে গ্রহণ
জীবনের স্বাদে তার মৃত্যুর স্বাদ হয়েছে অমর
এই ধারা আর এই অনুভূতির মৃত্যু নেই
এই দেশ আর এই জাতির চিৎকার
শুনে যদি নিজ আপন মন নাড়া না দেই
মরে যাক তারা, মৃতের চিৎকারে ঈশ্বর কভু দেই না সাড়া
আপন ঈশ্বর বলে দেই শুধু,'বাঁচো লড়াই করে।'