যে সমতা আর অধিকার নিয়ে তোমাদের হুটোপুটি
যার বলে নিজেকে বলিয়ান করে নেমেছিলে সংগ্রামে
যে চিৎকারে জানিয়েছিলে নিজের অধিকার আর যুদ্ধের কথা;
যে প্রত্যাশা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল তোমার ভাই
যে বোন নিজ দেশকে বদলে ফেলবে বলে দিয়েছে প্রাণ
তুমি কি সেই সমতা আর অধিকার লাভ করেছো?
তুমি কি সেই শিক্ষা আর শিক্ষকের মর্যাদা ফিরে পেয়েছো?
যে রাজনীতির নোংরা মাঠে
গাঁ ভাসিয়ে চিৎকার করে উঠেছিলে;
হাতে মুষ্টিবদ্ধ লাঠি নিয়ে দাবিয়েছিলে রাজপথ
হারিয়েছিলে কত ভাই বোনের নিষ্পাপ প্রাণ
তুমি কি সেই নোংরা রাজনীতি হতে মুক্ত হয়েছো?
যে রাজনীতির পদতলে পিষে চলেছে সাধারণে
তুমি কি ক্ষমতার লোভে বিকিয়েছ নিজ বিবেক?
গণতন্ত্র, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব আর বাঁচার যে স্বাধিনতা
তা কি মূল্যহীন সাধারণের জীবন তোমার কাছে!
যে সাধারণ এখনও নিরব হয়ে বসে আছে
কেউ তাদের রক্ষা করবে;
হুংকার দিয়ে জানাবে তাদের অধিকার
নস্যাৎ হয়েছে সেইসব দিনগুলো
যেখানে মহানায়কের জন্ম হয়েছে
কথা বলেছে তাজা ও সতেজ সমাজতন্ত্রের।
সাধারণের অজস্র হাতের লাঠিগুলো শক্ত করে ধরো
যে ব্যর্থ জীবনের গল্প ভেড়ানো হয় সাধারণের নামে
যে দিনপঞ্জির উপর রক্ত আঁকা লাল স্তম্ভ দেখা হয়
সবকিছু মুছে ফেল; মুছে ফেল করুণার ব্যর্থ নামগুলো
লিখে নাও 'আমি সেই সাধারণ'
যার নামে লেখা হয়েছে অজস্র সংগ্রাম
যার নাম বিকিয়ে জন্ম হয়েছে শত মহানায়কের
তোমরা লিখে নাও 'আমি সেই সাধারণ'
যে সাধারণের নামের উপর দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের স্তম্ভ
যে ইতিহাস চিৎকার করে উঠে ব্যর্থতার সুর নিয়ে
'আমি সেই সাধারণ' যার বেদনার সুরে প্রাণ সঞ্চিত হয়
সবুজ ফসলের ভূমি সোনালি রূপ লাভ করে
সভ্যতার সংস্কৃতির পালাবদলে 'আমি সেই সাধারণ'
'আমি সেই সাধারণ' যে জীবন ও মৃত্যুর চক্রাকারে
ফিরে আসে বারবার আর বলে, আমি নির্যাতিত!
যার সুরে প্রতিধ্বনিত হয় 'আমাদের জীবন মূলহীন।'
'আমিই সেই সাধারণ' যে আকাশ বিদীর্ণ চিৎকার করে;
চিৎকার করে উঠে বারবার আরো অজস্র বার।