এই জীর্ণ শরীর নুয়ে পড়েছে আত্মনাদের চিৎকারে
পরাজিত কুণ্ঠিত ধূসর চোখে
ভ্রমিত স্থলিত আমার মাথায়
জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠা আমার ভাইয়ের,
আমার বোনের বিশ্বাস গোলক ধাঁধার মত
সব অস্ফুটবাক আর চালচুলোহীন উলঙ্গ উন্মাদ।
কান পাতলেই শুনতে পাই
উন্মাদ মাতালের খুনি চিৎকার!

ভেঙেছে ঘর,স্বপ্নের সব সিঁড়ি
ছিঁড়ে ফেলে চলে গেছে উদ্বাহু পৈশাচ
দু'হাতে জঘন্য খুনের অতীত নেই
এই দু'চোখে দেখেছি খুনীর হস্তে খুন
কতশত লাশ গুণে গুণে হাজারো
এইসব নিয়ে মাতামাতি ভালো নয় তত্ত্বতঃ
দু'হাতে দু'কান বন্ধ করেছি
আর শুনিনি খুনীর হাসি
কারা মরলো মিছিলে বলো?
কাদের শরীর ভেসে যায় বন্যার জলে?
মৃতের চিৎকারে, শিশুদের হাসি কেড়ে নিয়ে
কে বলে ভালোবাসি?
রাজনীতির মহাপুরুষের প্রোথিত ভালোবাসা
গান্ধী, মুজিব কোন সে রন্ধ্রে!
ভালোবাসা! ভালোবাসি! হাঃ! হাঃ!!
মগজের উত্তপ্ত খুলির উত্তেজনা মাত্র।
অনেক হয়েছে, ইতিহাস ভুলি নি কেউ
থামাও তোমার মূর্খ পুরোনো বার্তালাপ
থামাও বিদ্রূপ আর অপবাদের আস্ফালন।
তোমাকে থামতেই হবে
পথের দাবীতে নেমেছে সত্যের সারথি।

শহর গ্রাম চিঁড়ে উঠাও মাথা আজ
আমি আর মাথা নুয়ে থাকবো না।
আর নয় বইয়ের পর বই লিখে
সত্যের ভাঁজে মিথ্যার ইতিহাস লেখা
দেয়ালে, মাটিতে সবুজের ঘাসে
স্তব্ধ হয়ে থাকা শিশুর চিৎকারে
ঝুলিয়ে দিলাম সত্যের কালিমা তোমার বুকে।
শহরের অলিগলি, গ্রামের পাড়া মহল্লায় একাকার হয়ে
জানিয়ে দাও আসছে তারা
সবার দুঃখ নেবে ভাড়া!
সবার দুঃখ নেবে ভাড়া!
শহীদের রক্তে রয়েছে বিপ্লব
থামাও কালো হাত যে বাড়ে
অজস্র চিৎকারে জেগে উঠো
বিপ্লবের সুরে আমি,নিভাও প্রোথিত প্রথা।