দায়িত্বের দূতাবাসে যখন কড়া নড়ে উঠে
কড়া নড়ে উঠে শখ আহ্লাদ ছুঁড়ে ফেলার
স্বপ্নগুলোকে মাটির ধুলিতে পিষে ফেলার
তখন মনে হয় আমিতো দায়িত্বের ভাঁড় নিয়ে জন্মেছি
জন্ম নিয়েছি অন্যের স্বপ্ন লালন করার
যা নিজের বলে দাবি করে থাকি
আদতেও তা কখনো আমার ছিল না।
আমার কিছুই ছিল না যা আমি আছি
অন্যের হাতে লালিত আমি তার লালিতই আমার
তার যা স্বপ্ন ছিল তা আমারই হলো
আমার বলে যা দাবি করি
তা আর আমার নেই।
দায়িত্বের দূতাবাসে যখন কড়া নড়ে উঠে
শৃঙ্খল ভেঙে তখন দুরন্তপনা ছুটে পালাই
ছুটে পালাই সেসব ইচ্ছে আর ভালোবাসাগুলো
যা ছিল আমার বটে প্রেম ছিল এই হৃদয় কঠুরিতে;
কিছু নেই আর কিছু নেই যা আমার বলি।
অর্থ আর বিত্ত কেড়ে নিল সবকিছু
তার কি প্রলোভনে ছোটে চলা এই আমি
ভুলে গেছি আমি কে? আমি কে?
দায়িত্বের দূতাবাসে যখন কড়া নড়ে উঠে
জীবনের মানে তখন অর্থলিপ্সা
জীবনের মানে তো বিসর্জন আমার
জীবনের মানে তো স্বপ্ন স্বাদ ছুঁড়ে ফেলা।
আমি যা কিছু করি না কেন
আমার আছে বলে কিছু নেই
তারই দ্বারে হাত উঠে
যার কাছে আমি কিছুই নই।
আমি তো পরিচয়হীন অবোধ পালক
যে পালকের নেই কোনো স্বাধিকার
দায়িত্বের ভাঁড়ে উড়তে না পারি
মাটির ধুলিতে আমি পিষে চলি;
আমি পিষে চলি তোমাদের স্বপ্ন পূরণে
লুফে নিয়ে থাকি অর্থলোভী স্বারক
আমি তো স্বার্থান্বেষী সেই দায়িত্ববান পুরুষ
আমি তো স্বার্থান্বেষী সেই নারীর কোল
যার স্বপ্নগুলো ছুঁড়ে ফেলা হয়
নিভিয়ে দেওয়া হয় তারকাময় আলো।
দায়িত্বের দূতাবাসে যখন কড়া নড়ে উঠে
আমি তো আর আমি নই
আমি তো হয়ে যায় বিসর্জন
আমি তো হয়ে যায় বিসর্জন।