হে আনন্দময়ী যাত্রা,
আজ তুমি এসেছো বলে খুব বেশি আনন্দ?
আনন্দের উচ্ছ্বাসে চারিদিকে যদি হয়;
একটিবার তাকিয়ে দেখার
পাহাড়সম মানুষের হাড়ের স্তুপ করছে চিৎকার;
ঘরের স্তুপ,নর্দমায় পড়ে থাকা মৃত শিশুদের স্তুপ;
আর জীবন্ত মানুষের হাহাকার তীব্র যন্ত্রণার স্তুপ।
কোথায় তাকে রেখে এলে?
তাদের চোখে মুখে আনন্দের উচ্ছ্বাসের আকুলতা নেই।
হে খুশির বার্তা,
যে চিঠিতে আমাকে জানিয়েছো প্রেমের নিবেদন?
সেই চিঠি কি তাদের জানিয়েছে অশ্রুজল?
এতদিন বসে পুরোনো সেই সময়ের বার্তা বহে
সমস্ত মিথ্যা আদিষ্ট হয়ে;
পথে লুটিয়ে থাকা শিশু,অনাথের হৃদয় যন্ত্রণা
ফিলিস্তিনে বয়ে চলা রক্তের স্রোত;
সব কি আজ খুব খুশির বার্তা?
হে আকাশে বহমান ফেরেশতারা,
যমিনের উল্লাসে মাতিয়ে উঠার তীব্র আবেদন
নির্ভীক সৌন্দর্য্যের প্রশংসার যাত্রীরা;
আমোদ-প্রমোদে মত্ত মানুষেরা
পাহাড়সম মানুষের হাড়ের স্তুপ কি তোমাকে আনন্দের আস্বাদ দিয়ে থাকে?
বেদনার আত্মিক বহমান স্রোত;
তিলে তিলে আটকে দিচ্ছে আমার বেদনার স্রোত কে
পৃথিবীর সমস্ত কুকুর ফুটপাতে আজ
দেখে লও প্রমোদে থাকা মানুষের হয় যদি বোধ;
যেন এতদিনের বেদনাহত আঘাত মুছে দিয়ে
মানুষের হাড়ের স্তুপে জানান দেয় সান্ত্বনা।
হে খুশির বহর বয়ে চলা কবিরা,
দুঃখ কি তোমায় যাচনা করে নাই?
সুখের কি আনন্দ গ্রহণ করো নাই?
জানাও আজকের মহান আগমণী যাত্রাকে
সুখে আনন্দে ভরে তুলুক পৃথিবী;
পৃথিবীর পরে পদচিহ্ন ফেলে দিয়ে যাক সেই বার্তা
কবি জানাই তোমায়, তোমাদের অভিনন্দন আনন্দের শুভেচ্ছা।
জয় করো সব গ্লানি ;মুছে ফেলো আজ দুঃখের সব অভিলাষ
এই মুহূর্ত হোক তোমার আমার খুশির পদযাত্রা।