আমার বুকের খুব..খুব গভীরে
একটা ছোট্ট দীঘি আছে,
শান বাঁধানো ঘাট..
কাকচক্ষু কালো জল..
আল তোলা পারে ঘন দেবদারু;
কতদিন কতজন এলো..
পাশ দিয়ে হেঁটে গেলো,
বাঁধানো ঘাটের সিঁড়ি বেয়ে নেমে
জল-ও ছুঁলো হয়তো।
কাকচক্ষু জলে একটু-ও টোল পড়ে না..
শান বাঁধানো ঘাটে পড়ে না
কোনো পায়ের ছাপ,
দেবদারু সারির একটি পাতা-ও নড়ে না!
একদিন...
এক সাধারণ,খুব সাধারণ বালিকা এলো
আলতো পায়ে,
দেবদারু বীথি অবাক হয়ে দেখে..
বুকের আলতা দিয়ে বালিকা বাঁধানো শানে লিখে
নিজের নাম,
কাকচক্ষু স্থির জলে জাগে
সুনামির ঘনশ্বাস।
বালিকা ভয় পায় না,
একটু-ও চমকায় না...
পারে বসে থাকে মৌনী ঋষিবকের মত,
মাঝেমধ্যে আনমনে একটি দু'টি ঢিল ছোঁড়ে...
দীঘি স্বপ্নচারী হয়,
চোখে ভাসে তার সমুদ্র হাওয়ার সাধ!
দীঘির জলে নাইবে প্রিয়া?
© আজিজুর রহমান খান