এলো শীত, কুজ্ঝটি শ্বেতবাস অঙ্গে,
মৃত্যুর কুহেলিকা ধূসরিত বঙ্গে।
বৈরাগী ধূলিবাসে সন্ন্যাসী ধরনী,
বালুচরে থেমে যায় ধেয়ে চলা তরনী।
ভোরের বাতাসে ভাসে মহাত্যাগ বারতা,
আঙিনার ভেজা ঘাসে ছোট শিশু ধোয় পা।
শিশিরের পরশে গেঁয়ো মাঠ সিক্ত,
চাষী মুখে হাসি দিয়ে ধরামাতা রিক্ত।
শিমুলের পেঁজা তুলো উত্তুরে বাতাসে,
কুয়াশা কাঁপিছে যেন হিমায়িত হুতাশে।
নিস্তাপ রাত্রিতে শিশিরের শব্দ
ঘোষে যেন প্রহরের কত শত অব্দ।
টুপটাপ করে পড়ে সময়ের ঘন্টা,
দুলে উঠে সমাহিত শান্ত এ মনটা।
ওঠো, জাগো, দেখ ঐ শুভ্রবসনা এক
সাধনায় যাচে যেন কাঙ্ক্ষিত মহাত্যাগ।
হৃদয়ের বীনা তারে তবু বাজে কোন সুর...
আসিতেছে ঋতুরাজ, নেই আর বেশী দূর।।
© আজিজুর রহমান খান