আমায় পাহাড় ডেকেছিলো
নির্বাক নিনাদে।
মৃত্তিকার গভীরতম প্রদেশ থেকে
প্রাগৈতিহাসিক শিকড়ের মত
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছিল আমাকে।
আকাশ ছোঁয়ার নির্লিপ্ত প্রয়াসে,
আদি পুরুষের হৃদ্য অহংকারে
উদ্ধতশির দাঁড়িয়ে ছিল সার সার।
দু'পাশে নির্মোহ অরণ্যরাজি
নিরুচ্চার ধ্যানমগ্ন ঋষি;
বুনো ফুলের পারিজাত সৌরভে
নিশিগ্রস্ত আমি শুনি
আদিবাসী প্রাচীন সভ্যতার দূরাগত ঢাক,
সময়ের প্রাচীর ডিঙায়
কালের শকট!
কাপ্তাইয়ের কাকচক্ষু জলের অতলে
উঁকি দেয় লোকালয়;
পালা-পার্বণ
শত আয়োজন
যুদ্ধ দামামা
দুঃখ-কষ্ট-স্বপ্ন-মৃত্যু-ভালোবাসা।
খোলা বাতাসের ঢেউ
প্রহর নাড়িয়ে দেয়,
রোদ ছলকানো ডানায় নাচে
প্রজাপতির উচ্ছ্বাস।
জুম চাষরত রমণীর চোখে দেখি
পাহাড় ও প্রকৃতির ঘনছায়া;
মনে হয়...
এই আদিগন্ত শ্যামলিমা আঙুলে মেখে
বুনো মেঘের চাঁদোয়ায় কাটিয়ে দিই
একটি জীবন!
ধমনীতে বাজে তারুণ্যের কলতান।
© আজিজুর রহমান খান
১২.১০.২০২০
(রাঙামাটি ভ্রমণের বিক্ষিপ্ত ভাবনামালা)