তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছি আমিঃ
তোমার হাতটা ধরে বসে আছি চন্দনা-বারাসিয়ার তীরে!
গোধূলির রক্তরাঙ্গা আকাশের লালাভ ছায়ায় সবুজাভ নদীটার রঙ ছিল বেগুনী!
তোমার বেগুনী জামায় বন্য ঘাসের ছোঁয়া ছিল, চুলে ছিল ঘাসেলা-গন্ধা বাতাসের খেলা!
দূরের ঢেউ-জলে বয়ে যাওয়া নৌকা আর দিগন্তের আলোক-সন্ত্রাসের ব্যাকগ্রাউন্ডে
তোমার মায়াভরা মুখটা আর বন্য-গন্ধা শরীরী অবয়বে পেয়েছিলাম তা,
যা... আমার সীমাবদ্ধতা কে অতিক্রম করে তোমার কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আমায়!
সেই চন্দনা-বারাসিয়ার তীরে, বন্য ঘাসেলা জমিতে...তোমাকে ছুয়েছিলাম আমি!
তোমার ফেরোমিনে মৌ মৌ করছিলো চারিদিক, পূর্ণ করেছিলো প্রকৃতির সীমাবদ্ধতাকে!
প্রকৃতির চাইতেও সুন্দর তোমার রূপ-সমূদ্রে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে আমি পুরুষ হয়ে উঠছিলাম!
গুলাবী তোমার ঠোঁট আর ঠোঁটেলা সাদা দাঁতের মায়াবী নেশায় ডুবে যেতে যেতে...
নদীর তীরের ওই উর্বরা সমতলে, সুখ-বিদ্যুতে...ঝলসে যাচ্ছিলাম যখন,
তুমি তখন চন্দনা-বারাসিয়ার তীব্র স্রোতে উপচে উঠে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে আমায়!
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছি আমি
বহু যুগ ধরে...তুমিঃ কিংবদন্তীর মতো, আমিঃ আবহমান কাল ধরে!